গাব্বা: গত ম্য়াচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের পর আরও এক এশিয়ান দল, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজ মাঠে নেমেছে জিম্বাবোয়ে (BAN vs ZIM)। ক্রেগ আরভাইনরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সেমিফাইনালে পৌঁছনোর স্বপ্ন সত্যি করতে হলে এই ম্যাচে জয় পাওয়াটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বল হাতে কিন্তু বাংলাদেশ বিরুদ্ধে বেশ ভালই পারফর্ম করলেন জিম্বাবোয়ের বোলাররা। ১৫০ রানেই থেমে গেল বাংলাদেশের ইনিংস।


শান্তর লড়াই


এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। তবে বাংলাদেশি ব্যাটাররা খুব বড় রান করতে পারল না। দলের হয়ে এদিন দুর্দান্ত লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিয়ে পেশির চোট সত্ত্বেও অর্ধশতরান করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত (Najmul Hossain Shanto)। দুই ৫৫ বলে তাঁর সংগ্রহ ৭১ রান।শান্তর ইনিংস সাজানো ছিল সাতটি চার ও একটি ছক্কায়। এটাই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর প্রথম অর্ধশতরান। শান্ত বাদে ব্যাট হাতে শাকিব ২৩ ও শেষের দিকে আফিফ হোসেন ১৯ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন।


 






 


বাংলাদেশি ইনিংসের শুরুটাই ভাল হয়নি। ওপেনার সৌম্য সরকার শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন। বড় রান পাননি লিটন দাসও। ৩২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে শাকিব ও শান্ত দলের হাল ধরেন। তৃতীয় উইকেটে দুইজনে মিলে ৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। পেশির টানে একসময় ঠিকভাবে ছুটতেও পারছিলেন না শান্ত। তবে তিনি মাঠ ছাড়েননি। মাঠেই সাময়িক চিকিৎসার পর কিছুটা ভাল হয়েই অর্ধশতরানের একটি সুন্দর ইনিংস খেললেন তিনি। এছাড়া আর কোনও বাংলাদেশি ব্যাটারই বলার মতো তেমন রান করেননি।


চিন্তার বিষয়


জিম্বাবোয়ের হয়ে এদিনের সফলতম বোলার ব্লেজিং মুজারাবানি। দীর্ঘকায় জিম্বাবোয়ে ফাস্ট বোলার ম্যাচে ১৩ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন। রিচার্ড এনগারাভাও দুই উইকেট নেন। তিনি অবশ্য বল হাতে মুজারাবানির থেকে বেশি ২৪ রান খরচ করেন। বাংলাদেশ সাত উইকেটের বিনিময়ে ১৫০ রানেই নিজেদের ইনিংস শেষ করল। এদিন ম্যাচে জিম্বাবোয়ের ফিল্ডিং, তাঁদের দলকে বড় চিন্তায় রাখবে। ম্যাচে অনেকগুলি সহজ ক্যাচ ছাড়া থেকে মিসফিল্ড করতে দেখা গিয়েছে জিম্বাবোয়েকে। তা নাহলেও বাংলাদেশকে আরভাইনরা আরও কম রানে আটকালেও, আটকাতে পারতেন। 


 আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় দুর্দান্ত রেকর্ড, প্রোটিয়া ম্যাচের আগে সাফল্যের কারণ খোলসা করলেন কোহলি