পারথ: লাল বলের ক্রিকেটের মিচেল জনসনের গতি সামলে শতরান হাঁকানো হোক বা চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চাপের মুখে ম্যাচের মোড় ঘোরানো ইনিংস, অস্ট্রেলিয়ায় বরাবরই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। অজিভূমে যেখানে পিচের গতি ও বাউন্স সামলাতে বেশিরভাগ এশিয়ান ব্যাটার চাপে পড়েন, সেখানে কোহলির দুর্দান্ত সাফল্যের কারণটা ঠিক কী?

  


কোহলির মতামত


বিরাট কোহলির মতে একবার উইকেটের আন্দাজ পেয়ে গেলে অস্ট্রেলিয়ার পিচগুলির রান করার জন্য সবচেয়ে ভাল। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতের তারকা ব্যাটার বলেন, 'আমি নিজের আগের ভিডিও দেখি না। বরং নেটে নেমে পরিস্থিতি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি। হ্যাঁ, প্রথম কয়েকটা বলে শট মারতে গিয়ে একটু চাপে পড়তে হয় বটে। তবে ব্যাটিং তো পুরোটাই প্রতিক্রিয়ার ব্যাপার। কিছু সময় পরে বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে সেইমতো আপনা আপনি স্টান্সও ছিক হয়ে যায়। এখানে খেলার জন্য ভারত থেকে প্রস্তুতি সেরে আসাটা একেবারেই সম্ভব নয়। এখানের মাঠে খেলেই সেটা করতে হয়। একবার এখানকার পিচের গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলেই, অস্ট্রেলিয়ার পিচগুলির থেকে বেশি ভাল ব্যাটিং পিচ হয় না।'


নতুন রেকর্ডের হাতছানি


বিরাট স্পষ্ট জানিয়ে দেন তাঁর জন্য ব্যাটিং বা যে কোনও পরিবেশে মানিয়ে নেওয়াটা পুরোপুরিই মানসিক বিষয়। বিরাটের অস্ট্রেলিয়ায় রেকর্ডই প্রমাণ করে দেয় তিনি সেখানকার পিচের সঙ্গে কতটা ভালভাবে মানিয়ে নিতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৬৬টি ইনিংস খেলে ৫৬.৪৪ গড়ে বিরাট কোহলি মোট ৩২৭৪ রান করেছেন। তিনি অজিভূমে ১১টি শতরানের পাশাপাশি ১৭টি অর্ধশতরানও করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রবিবারের (৩০ অক্টোবর) ম্যাচেই বিরাট কোহলি সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ড ভেঙে অজিভূমে নতুন রেকর্ড গড়তে পারেন। অজিভূমে সচিন ৩৩০০ রান করেছেন।


আর মাত্র ২৭ রান করলেই সচিনের সেই রেকর্ড ভেঙে বিরাটই ভারতীয় হিসাবে অজিভূমে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে যাবেন। চলতি বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচেই বিরাট অর্ধশতরান করেছেন। ফলে তিনি ভাল ফর্মেও রয়েছে। তাই প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ফের একবার তাঁর চওড়া ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবেন ভারতীয় সমর্থকরা।


আরও পড়ুন: জিতলেই সেমিফাইনালের টিকিট কার্যত নিশ্চিত, কোথায়, কখন দেখবেন ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্য়াচ?