চট্টগ্রাম: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই দুরন্ত শতরান করলেন লিটন দাস। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন মুশফিকুর রহিম। মূলত এই ২ জনের ব্যাটিংয়ের ওপর নির্ভর করেই প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শেষে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে বোর্ডে বড় রান তুলছে বাংলাদেশ। ২ জনই প্রথম দিনের শেষে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৩।


প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। খাতায় কলমে তারাই এগিয়ে। কিন্তু তবুও ঘরের মাঠে চেনা সমর্থক ও পরিবেশের সুবিধে কাজে লাগানোর সুবিধে ছিল টাইগারদের সামনে। তবে তা কাজে লাগাতে পারলেন না বাংলাদেশের টপ অর্ডার। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মোমিনুল হক। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন শাদমান ইসলাম ও সৈয়ফ হাসান। কিন্তু ২ জনের কেউই বড় রান করতে পারেননি। মাত্র ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ২ জনই।


বাংলাদেশ অধিনায়ক মোমিনুল হকও মাত্র ৬ রান করেই আউট হয়ে যান। বোর্ডে ৪৯ রান উঠতেই ৪ উইকেট খুঁইয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকেই দলের হাল ধরেই লিটন দাস ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর। ২ দিন আগেই অবসর নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ফলে তাঁর অনুপস্থিতিতে মিডল অর্ডারে অন্য়তম অভিজ্ঞ মুশফিকুর। 


লিটন ও মুশফিকুর মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। লিটন এদিনই শতরান পূরণ করে ফেললেও মুশফিকুর অর্ধশতরান করে অপরাজিত থেকে যান। প্রথম দিনের খেলা শেষে ২ জনে যখন মাঠ ছাড়ছেন তখন লিটনের নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে অপরাজিত ১১৩। নিজের ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ১০ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮২ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর। ২ জনে মিলে দুশো রানের ওপরে পার্টনারশিপ গড়েছেন। 


পাকিস্তান বোলারদের মধ্যে ১টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি, হাসান আলি, ফাহিম আসরফ ও সাজিদ খান।