ঢাকা: আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে ক্ষোভ থাকায় প্রতিবাদস্বরূপ মাত্র চারটি বৈধ বলে ৯২ রান দেওয়ার অপরাধে এক বোলারকে ১০ বছর নির্বাসনে পাঠাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।


খবরে প্রকাশ, লালমাটিয়া ক্লাবের সুজন মাহমুদ নামে ওই বোলারকে মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দাবি, এই ঘটনায় খেলার ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছে।


শুধু সুজন নন, শাস্তির কোপ নেমে এসেছে দল, অধিনায়ক ও কোচের ওপরও। জানা গিয়েছে, প্রতিযোগিতা থেকে ক্লাবকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে। পাশাপাশি, দলের অধিনায়ক, কোচ ও ম্যানেজারকে ঢাকার দ্বিতীয় ডিভিশন লিগ থেকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, গতমাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৫০ ওভারের একটি লিগ-ম্যাচে মাত্র ১৪ ওভারেই ৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায় লালমাটিয়া ক্লাব। জবাবে, মাত্র চার বৈধ বলেই ৯২ রান তুলে নেয় বিপক্ষ অ্যাক্সিয়ম ক্লাব!


প্রথম ওভারে সুজন ১৩টি ওয়াইড ও ৩টি নো-বল করেন সুজন। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বল বাউন্ডারি যাওয়ায় ব্যাটিং দলের স্কোরবোর্ডে এখানেই ৮০ রান যোগ হয়ে যায়। বাকি চারটি বৈধ বলে সুজনকে ৩টি চার মারেন অ্যাক্সিয়মের ওপেনার মুস্তাফিজুর রহমান।


এদিকে, অন্য একটি ম্যাচে একইভাবে ওয়াইড এবং নো-বল করার অপরাধে ঘটানোর জন্য ফিয়ার ফাইটার্স ক্লাবের বোলার তাসনিম হাসানের ওপরও ১০ বছরের নির্বাসনের সাজা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।


এই ঘটনা ঘটানোর কথা স্বীকার করে নেন লালমাটিয়া ক্লাবের সচিব আদনান রহমান। তাঁর দাবি, আম্পায়ারিংয়ের মান এত নিম্ন ছিল, যে প্রতিবাদস্বরূপ এমন কাণ্ড করা হয়েছে। তিনি এ-ও দাবি করেন, টসের পর তাঁর দলের অধিনায়ককেও কয়েন দেখাতে অস্বীকার করেন দুই আম্পায়ার।


এর জেরে দুই কলঙ্কিত ম্যাচের আম্পায়ারদেরও ছয় মাসের জন্য নির্বাসিত করেছে বাংলাদেশ বোর্ড।