ঢাকা: ৩০ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ভোটে তিনি দাঁড়াবেন আওয়ামি লিগের টিকিটে। প্রিয় ক্রিকেটার মাশরফি মোর্তাজার এই ঘোষণায় বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তরা অনেকেই অসন্তুষ্ট। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় মাশরফি। রাজনীতিতে নামা সময়ের দাবি বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।


বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাশরফি সুপারস্টারের মর্যাদা ভোগ করেন। বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর ছবি বেশ কয়েকদিন খবরের শিরোনামে থেকেছে। কিন্তু শাসক দল আওয়ামির হয়ে তাঁর রাজনীতিতে নামার সিদ্ধান্ত দ্বিধাবিভক্ত করে দিয়েছে তাঁর অনুগামীদের, আওয়ামির বিরুদ্ধে বিরোধীদের জেলে পোরা ও মতানৈক্যের কণ্ঠরোধের অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই প্রিয় ক্রিকেটারের ওপর ক্ষুব্ধ। তাঁদের উদ্দেশে ফেসবুকে মাশরফি বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, প্রত্যেক সচেতন ও সৎ বাংলাদেশির উচিত রাজনীতিতে নামা। হয়তো অনেকে নানা কারণে সাহস পান না, মানসিক সীমাবদ্ধতাও থাকে। তিনি ভেবেছিলেন, এই মানসিক বাধা ভাঙা উচিত, তাই নিজের ইচ্ছে পূর্ণ করতে রাজনীতিতে নামতে চলেছেন।

সামনের বছর বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে পারেন মাশরফি। কিন্তু তারপর কী হবে তিনি জানেন না। এ নিয়ে ভাবনাচিন্তার সময়েই রাজনীতিতে নামার চিন্তা তাঁর মনে উঁকি মারে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আওয়ামি লিগ ইতিমধ্যেই বলেছে, নিজের শহর নাড়াইল থেকে মাশরফি ভোটে দাঁড়াবেন।

ভারতীয় উপমহাদেশে ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে আসা নতুন কিছু নয়, তবে তাঁরা প্রায় সকলেই প্রাক্তন ক্রিকেটার। খেলা চালানোর পাশাপাশি রাজনীতিতে আসতে তাঁদের খুব একটা দেখা যায়নি। ৩০ তারিখের ভোটে লড়তে চললেও তার আগে ৯ তারিখ থেকে ঘরের মাঠে শুরু হতে চলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিনটি একদিনের ম্যাচ সিরিজে মাশরফি বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন।