বঢোদরা: একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি নিজেকে এতটাই বড় তারকা ভাবেন যে, রাজ্য দলের প্র্যাক্টিসে আসেন না। সরাসরি ম্যাচ খেলতে নামেন। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে নানারকম শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে।


আরেকজন নাকি এতটাই উদ্ধত যে, কোন টুর্নামেন্টে খেলবেন আর কোনটায় খেলবেন না, নিজে থেকে জানান না। এমনকী, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা থেকে ই মেল মারফত জানতে চাওয়া হলে দায়সারা উত্তর দেন।


প্রথমজন ক্রুণাল পাণ্ড্য (Krunal Pandya)। দ্বিতীয়জন তাঁর চেয়ে বয়সে ঠিক দু'বছরের ছোট। ভাই হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)। দুজনের বিরুদ্ধেই ভুরিভুরি অভিযোগ শোনা যাবে বঢোদরা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে কথা বললেই।


গত মরসুমে দীপক হুডার সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন ক্রুণাল। সেই সংঘাত এতটাই তীব্র আকার ধারণ করে যে, দল থেকেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন দীপক। সেই সময় বঢোদরা ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা ক্রুণালের পাশেই ছিলেন।


কিন্তু পরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। বিশেষ করে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বঢোদরার ব্যর্থতার পর। সেই টুর্নামেন্টের পর ক্রুণাল নিজেই নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি দলের প্র্যাক্টিস সেশনে গরহাজির থাকতেন। সরাসরি ম্যাচে নামতেন। বঢোদরা ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, বিজয় হাজারে ট্রফির আগে ক্রুণালকে বলে দেওয়া হয়েছে, তিনি কোনও প্র্যাক্টিস সেশন বাদ দিতে পারবেন না। দলের সতীর্থদের সঙ্গে প্র্যাক্টিস করতে হবে।


হার্দিক জাতীয় দলের বাইরে। পিঠের চোট পুরোপুরি সারেনি তাঁর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁকে খেলানো নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। বিশেষ করে তিনি বল করতে পারছিলেন না বলে প্রশ্ন উঠেছিল কেন তাঁকে অলরাউন্ডার হিসাবে দলে রাখা হয়েছে। বঢোদরা ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, হার্দিক বিজয় হাজারে ট্রফি খেলবেন কি না, তা জানার জন্য ই মেল করা হয়েছিল। সেই মেলের এক লাইন জবাব দিয়েছেন হার্দিক। জানিয়েছেন, রিহ্যাবের জন্য তিনি মুম্বইয়ে। যে উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেনি রাজ্য সংস্থা। মঙ্গলবারই হার্দিক একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। সেখানে তাঁকে ফিটনেস ট্রেনিং করতে দেখা যাচ্ছে। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা প্রশ্ন তুলছেন, স্পষ্টভাবে জানাতে হার্দিকের সমস্যা কোথায়!


এই পরিস্থিতিতে বুধবার বাংলার বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করছে বঢোদরা।