নয়াদিল্লি: সম্প্রতি টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ে বিতর্কে জড়ান বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। এবার তিনি বিসিসিআই-এর (BCCI) চুক্তিতে গ্রেড বি থেকে গ্রেড সি-তে নেমে গেলেন। তিনি এখন বছরে এক কোটি টাকা পাবেন।
ঋদ্ধিমানের মতোই গ্রেড সি-তে নেমে গিয়েছেন অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)। তিনি এর আগের চুক্তি অনুযায়ী গ্রেড এ-তে ছিলেন। সেখান থেকে তিনি একধাপে নেমে গেলেন গ্রেড সি-তে।
গ্রেড এ থেকে গ্রেড বি-তে নেমে গিয়েছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অজিঙ্কা রাহানে (Akinkya Rahane) ও চেতেশ্বর পূজারা (Cheteshwar Pujara)। গ্রেড সি-তে নেমে গিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার (Bhuvneshwar Kumar) ও শিখর ধবন (Shikhar Dhawan)। প্রথমবার বিসিসিআই-এর চুক্তিতে জায়গা পেয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। তিনি আছেন গ্রেড সি-তে। কুলদীপ যাদব, বেঙ্কটেশ আইয়ার, হর্ষল পটেল ও ঈশান কিষানের সঙ্গে চুক্তি করেনি বিসিসিআই।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী, এ প্লাস গ্রেডে আছেন তিনজন ক্রিকেটার। তাঁরা হলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও জসপ্রীত বুমরাহ। এই তিনজন ক্রিকেটার বছরে ৭ কোটি টাকা করে পাবেন। গ্রেড এ-তে আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, কে এল রাহুল, মহম্মদ শামি ও ঋষভ পন্থ। গ্রেড এ-তে থাকা ক্রিকেটাররা বছরে ৫ কোটি টাকা করে পাবেন। গ্রেড বি-তে জায়গা পেয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে, অক্ষর পটেল, শার্দুল ঠাকুর, শ্রেয়স আইয়ার, মহম্মদ সিরাজ ও ইশান্ত শর্মা। গ্রেড বি-তে থাকা ক্রিকেটাররা বছরে ৩ কোটি টাকা করে পাবেন। গ্রেড সি-তে আছেন শিখর ধবন, উমেশ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পাণ্ড্য, ওয়াশিংটন সুন্দর, শুভমান গিল, হনুমা বিহারী, যুজবেন্দ্র চাহল, সূর্যকুমার যাদব, ঋদ্ধিমান সাহা, ময়ঙ্ক অগ্রবাল ও দীপক চাহার।
কিছুদিন আগেও জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার হিসেবে গণ্য করা হত হার্দিক পাণ্ড্যকে। কিন্তু তিনি চোট-আঘাত এবং খারাপ ফর্মের জন্য পিছিয়ে গিয়েছেন। টি-২০ বিশ্বকাপের পর থেকে তিনি জাতীয় দলের বাইরে। সেই কারণেই বিসিসিআই-এর চুক্তিতে অবনমন হল তাঁর। খারাপ পারফরম্যান্সের জন্যই অবনমন হল রাহানে, পূজারার।