নয়াদিল্লি: আইপিএলে তিনি খেলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে নজির গড়লেন কুলবন্ত খেজরোলিয়া (Kulwant Khejroliya)। মধ্যপ্রদেশের বাঁহাতি জোরে বোলার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে পর পর চার বলে ৪টি উইকেট নিলেন। কেকেআর পেসারের দাপটে মধ্য প্রদেশের কাছে হেরে গেল বঢোদরা।


রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ম্যাচে বঢোদরার বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশের এক ইনিংস এবং ৫২ রানের ব্যবধানে জয়ের অন্যতম কারিগর খেজরোলিয়া। ঘটনাটি বঢোদরার ইনিংসের ৯৫তম ওভারের। পর পর চার বলে ৪টি উইকেট তুলে নিলেন তিনি। ওভারের দ্বিতীয় বলে শাশ্বত রাওয়াত, তৃতীয় বলে মহেশ পিঠিয়া, চতুর্থ বলে ভার্গব ভাটকে আউট করে হ্যাটট্রিক করেন খেজরোলিয়া। তবে সেখানেই থামেননি তিনি। তারপর ওভারের পঞ্চম বলে খেজরোলিয়া আউট করেন আকাশ সিংহকে। তাঁর দাপটে ৫ উইকেটে ২৫৫ রান থেকে ৯ উইকেটে ২৫৫ হয়ে যায় বঢোদরা।


পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে খেজরোলিয়ার ওই দুরন্ত ওভারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। শেষ পর্যন্ত বঢোদরার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৭০ রানে। খেজরোলিয়া মাত্র ৩৪ রান খরচ করে ৫ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচে মোট ৭ উইকেট পেলেন তিনি। তৃতীয় বোলার হিসাবে ভারতের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চার বলে ৪ উইকেট নিলেন খেজরোলিয়া।


প্রথম এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন দিল্লির শঙ্কর সাইনি। ১৯৯৮ সালে রঞ্জি ট্রফিতে হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে পরপর চার বলে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে এই নজির গড়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মহম্মদ মুদাসির। তিনি ২০১৫ সালে রাজস্থানের বিরুদ্ধে একই কীর্তি গড়েছিলেন। কেকেআরের খেজরোলিয়া এই তালিকায় তৃতীয়। উল্লেখ্য, ২০২৩ মরসুম থেকে তিনি আইপিএলে শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটার।


 






ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মধ্যপ্রদেশ করেছিল ৪৫৪ রান। বঢোদরার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৩২ রানে। ৩২২ রানে এগিয়ে থাকায় প্রতিপক্ষকে ফলো অন করানোর সিদ্ধান্ত নেন মধ্যপ্রদেশের অধিনায়ক শুভম শর্মা। বঢোদরার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৭০ রানে।


আরও পড়ুন: Sourav Ganguly: বাড়িতে না জানিয়ে ডোনার সঙ্গে রেজিস্ট্রি সেরেই শ্রীলঙ্কায় সৌরভ, বিয়ের খবর ফাঁস হয় কীভাবে?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।