কলকাতা: বোঝা গিয়েছিল ১৮ অক্টোবর মুম্বইয়ে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভার দিনই। স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল যে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly) আইসিসি চেয়ারম্যান (ICC Chairman) পদে ভাবছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।


তবু সৌরভ ভক্তরা সামান্য হলেও আশায় ছিলেন। যদি শেষ মুহূর্তে বরফ গলে। তবে সেই আশায় জল ঢালল বোর্ড। বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ছিল আইসিসি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু ভারত থেকে কোনও মনোনয়ন পাঠানো হল না। বোর্ড সূত্রে খবর, ভারত আইসিসি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না। বরং বর্তমান চেয়ারম্য়ান, নিউজিল্যান্ডের গ্রেগ বার্কলে-কে আরও একটি ২ বছরের মেয়াদকাল সমর্থন করা হবে।                   


ফলে সৌরভের দরজা খুলল না। আপাতত সিএবি নির্বাচনকেই পাখির চোখ করছেন যিনি। এবং সব কিছু ঠিকঠাক চললে ২২ অক্টোবর, শনিবার সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা দেবেন সৌরভ।                                         


আইসিসি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসাবে সৌরভের পাশাপাশি শোনা যাচ্ছিল প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর ও এন শ্রীনিবাসনের নামও। কিন্তু অনুরাগ এখন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী এবং কাজের ব্যস্ততা সামলে তিনি কতটা আইসিসি-তে সময় দিতে পারবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিলই। শ্রীনিবাসনের অসুস্থতা তাঁর না দাঁড়ানোর একটা বড় কারণ। একটা সময় ভারতীয় ক্রিকেটে শেষ কথা ছিলেন তামিলনাড়ুর ক্রিকেট সংস্থার দোর্দণ্ডপ্রতাপ কর্তা। পরে আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে তাঁর জামাই গুরুনাথ মাইয়াপ্পন ও চেন্নাই সুপার কিংসের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অপসারিত হয়েছিলেন শ্রীনিবাসন।


তবে বোর্ড মহলে তাঁর প্রভাব কমেনি। সেটা বোর্ডের সাম্প্রতিক বৈঠকেই স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল। সৌরভকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানোর নেপথ্যেও শ্রীনর ভূমিকা ছিল বলে বোর্ডের কোনও কোনও মহল থেকে শোনা যাচ্ছে। তারপর থেকে আইসিসি চেয়ারম্যান পদে শ্রীনি নিজে যাবেন কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়।


যদিও ঘনিষ্ঠমহলে শ্রীনি জানান যে, তাঁর দৃষ্টিশক্তির সমস্যা রয়েছে। এবং পুরো ফিট না থাকায় তিনি এত বড় দায়িত্ব নিতে আগ্রহী ছিলেন না বলেই খবর।


আরও পড়ুন: বোর্ডের কমিটি থেকে সরে দাঁড়াক, তোপ প্রাক্তন কর্তার, আমল দিচ্ছেন না সৌরভ-অভিষেক