বিসিসিআই সূত্রে খবর, ২০০১ সালে বিসিসিআই-এর সাধারণ সভায় সম্প্রচার স্বত্বের মোট আয়ের ২৬ শতাংশ ক্রিকেটারদের দেওয়ার প্রস্তাব পাশ হয়। ২০০৪ সালে তৎকালীন বিসিসিআই সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া অনিল কুম্বলে, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করে এই নিয়ম কার্যকর করেন। বলা হয়, ২৬ শতাংশ অর্থের মধ্যে ১৩ শতাংশ পাবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা, ১০.৬ শতাংশ পাবেন ঘরোয়া প্রতিযোগিতাগুলিতে খেলা ক্রিকেটাররা এবং বাকি অর্থ দেওয়া হবে মহিলা ও জুনিয়র ক্রিকেটারদের। কিন্তু রাজ্য সংস্থাগুলিকে মোট আয়ের ৭০ শতাংশ দেওয়ার পর বিসিসিআই-এর হাতে যে ৩০ শতাংশ অর্থ থাকে, তার মধ্যে থেকে ৮ শতাংশ ক্রিকেটারদের দিয়ে বাকি অর্থ স্টেডিয়াম তৈরি, পরিকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যকলাপ চালানোর ক্ষেত্রে ব্যয় করা হয়।
প্রশাসক কমিটি সূত্রে খবর, ক্রিকেটাররা যাতে বেশি অর্থ পান, তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিসিসিআই-এর সদস্যরা রাজি নন। তাঁরা ৭০ শতাংশ অর্থ কোন খাতে ব্য করেন, সেটাও জানাতে রাজি নন। ক্রিকেটাররা ঘাম ঝরিয়ে যে অর্থ রোজগারের ব্যবস্থা করেন, সেটাকে নিজেদের অর্থ বলে দাবি করছেন বিসিসিআই-এর সদস্যরা। এ বিষয়ে বিসিসিআই সচিব অমিতাভ চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।