বিসিসিআই সূত্রে খবর, নাডার ‘হোয়্যারঅ্যাবাউটস ক্লজ’ নিয়ে আপত্তি আছে বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের। তাঁরা এই শর্ত মানতে নারাজ। সেই কারণেই বিসিসিআই-এর নাডা-র আওতায় না আসার সম্ভাবনাই বেশি। ক্রিকেটারদের ডোপ পরীক্ষার জন্য সুইডেনের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ড্রাগ টেস্টিং ম্যানেজমেন্টকে নিয়োগ করেছে বিসিসিআই। নাডা-র বদলে এই সংস্থার সঙ্গেই বিসিসিআই-এর যুক্ত থাকার সম্ভাবনা বেশি।
ওয়াডা-র চিঠি পাওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেটারদের ডোপ পরীক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য নাডা-কে নির্দেশ দিয়েছে ক্রীড়ামন্ত্রক। ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলিতে নাডা-র ডোপ নিয়ন্ত্রণ আধিকারিকরা যাবেন বলে জানা গিয়েছে। নাডা-র কাজে বাধা দিলে বিসিসিআই-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ক্রীড়ামন্ত্রক। তবে বিসিসিআই-এর এক কর্তা বলেছেন, ‘আমরা নাডা-র নিয়ম মেনে চলার চুক্তিতে সই করিনি। তাই আমাদের ক্রিকেটারদের ডোপ পরীক্ষার জন্য পাঠাব না। আইসিসি ওয়াডা-র নিয়ম মেনে চলে। তাই আইসিসি প্রতিযোগিতায় ক্রিকেটারদের ডোপ পরীক্ষা হয়। কিন্তু আমরা যেহেতু জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা না, তাই আমাদের নাডা-র নিয়ম মেনে চলার বাধ্যবাধকতা নেই।’
ওই আধিকারিক আরও বলেছেন, ‘ওয়াডা-র সাম্প্রতিক রিপোর্টেই বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতা চলাকালীন ও প্রতিযোগিতার বাইরে ১৫৩ ক্রিকেটারের ডোপ পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে মাত্র একজন নিষিদ্ধ বস্তু নিয়ে ধরা পড়েছেন। এই পরিসংখ্যানই আমাদের স্বচ্ছতার প্রমাণ।’
নাডা-র আওতায় না এলে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে বিসিসিআই-এর ওই আধিকারিক বলেছেন, ‘বিসিসিআই অনেক আইনি লড়াই লড়ছে। নাডা আধিকারিকরা যদি মনে করে থাকেন, তাঁরা আইপিএল বা রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ চলাকালীন হাজির হবেন এবং বিসিসিআই-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কোনও ক্রিকেটারকে ডোপ পরীক্ষা করতে বাধ্য করবেন, তাহলে বলতেই হয়, বিষয়টা অত সহজ হবে না।’