কলকাতা: বছর যায়। বছর আসে। কোচ পাল্টায়। অধিনায়কের নাম বদলে বদলে যায়। পাল্টায় না শুধু রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) বাংলার (Bengal Cricket Team) ব্যর্থতার ছবি। এবারও বহাল থাকল সেই ছবি। কেরলের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে ১০৯ রানে হেরে গেল বাংলা। সেই কেরল, যারা গ্রুপে এর আগের পাঁচটি ম্যাচের কোনওটিতে জিততে পারেনি। সেই সঙ্গে রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকেই বাংলার বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল।


তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ৭৭/২। ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran)। সোমবার, ম্যাচের শেষ দিন জেতার জন্য ৩৭২ রান দরকার ছিল বাংলার। বঙ্গ ক্রিকেটপ্রেমীরা আশা করেছিলেন, মরিয়া একটা প্রয়াস অন্তত দেখা যাবে। কোথায় কী! ৩৩৯ রানে অল আউট হয়ে গেল বাংলা।


সামান্য যেটুকু লড়াই দেখা গিয়েছে, তা করলেন শাহবাজ আমেদ (৮০ রান) ও অভিমন্যু (৬৫ রান)। জ্বর গায়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। গোটা মরশুমে কার্যত একার কাঁধে বাংলাকে টেনে নিয়ে যাওয়া ক্রিকেটার ১৬ রান করে ফিরলেন। অবসর ভেঙে রঞ্জি জয়ের স্বাদ পেতে মরিয়া হয়ে ফিরেছিলেন মনোজ তিওয়ারি। একমাত্র অসব ম্যাচ ছাড়া গকোটা মরশুমে রান পেলেন না। রঞ্জি জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল তাঁর। রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী কি আক্ষেপ করছেন, কেনই বা ফিরলেন?


ক্রিকেটার হিসাবে রঞ্জি ফাইনালে উঠে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল লক্ষ্মীরতন শুক্লর। কোচ হিসাবেও সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। রঞ্জি জয় এবারও অধরা মাধুরী হয়েই থেকে গেল তাঁরও।


কেরলের কাছে পরাজয়ের পর গ্রুপ বি-তে বিহারের বিরুদ্ধে বাংলার শেষ ম্যাচ নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল। ৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে ৪১ বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মুম্বই। তাদের সঙ্গেই কোয়ার্টার ফাইনালে যাচ্ছে অন্ধ্র প্রদেশ। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৫। শেষ ম্যাচে হারলেও তাদের পয়েন্ট পেরিয়ে যাওয়ার জায়গায় নেই অন্য কোনও দল। কেরলের ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। তারাই তালিকায় তিনে উঠে এল। তবে শেষ ম্যাচে বোনাস পয়েন্ট সহ জিতলেও ২১-এ আটকে যাবেন সঞ্জু স্যামসনরা। বাংলা এখন ছত্তীসগঢ় (৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট), উত্তর প্রদেশেরও (৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট) নীচে। ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হল মনোজদের। গ্রুপে ৬ নম্বরে বাংলা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।