শনিবারের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে মোহনবাগান তুলেছিল ১২১/৫। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদারের। দলের সেরা ব্যাটসম্যান মনোজ তিওয়ারি চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন। অনুষ্টুপ অবশ্য তার কোনও প্রভাব ম্যাচে পড়তে দেননি। ৩৭ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা। ৪৪ বলে ৪১ রান বিবেক সিংহের। ইস্টবেঙ্গল বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে ৩১ রানে ৩ উইকেট কণিষ্ক শেঠের। বি অমিত ১৪ রানে একটি ও অর্ণব নন্দী ২৩ রানে একটি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১২০/৮ স্কোরে আটকে যায় ইস্টবেঙ্গল। সায়নশেখর মণ্ডল ৫৫ বলে ৫২ রান করলেও তাঁর লড়াই ব্যর্থ হয়। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায়। আকাশদীপ ৪ ওভারে ২৪ রানে ২ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট প্রিন্স যাদব ও সায়ন ঘোষের।
ম্যাচের পর অনুষ্টুপ বলেন, ‘ডার্বি ম্যাচে একটা আলাদা উত্তেজনা থাকে। এই ম্যাচে পারফর্ম করার আলাদা তাগিদ থাকে। এই ম্যাচে আমি পারফর্ম করেছি আর তার জন্য দল জিতেছে বলে খুব ভাল লাগছে। এখনও অনেক ম্যাচ বাকি। এটাই শেষ নয়। তবে ডার্বি জয় আলাদাই আনন্দের।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মোহনবাগান ১২১/৫
(অনুষ্টুপ মজুমদার ৩৭ বলে ৫৫ নঃ আঃ, বিবেক সিংহ ৪৪ বলে ৪১ রান, কণিষ্ক শেঠ ৩-৩১)
ইস্টবেঙ্গল ১২০/৮
(সায়নশেখর মণ্ডল ৫৫ বলে ৫২ রান, ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ৩-৬, আকাশদীপ ২-২৪)
৪ উইকেট নিয়ে কালীঘাটের জয়ের অন্যতম কারিগর প্রদীপ্ত প্রামাণিক। ছবি সৌজন্যেঃ সিএবি
শনিবার প্রথম ম্যাচে কাস্টমসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কালীঘাট ক্লাব। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের নায়ক প্রদীপ্ত প্রামাণিক। প্রথমে ব্যাট করে কাস্টমস তোলে ১২৪/৭। ১০ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কালীঘাট। ৩০ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। ম্যাচের পর প্রদীপ্ত বলছেন, 'উইকেট নেওয়ার লক্ষ্যে প্রথম থেকে আগ্রাসী বোলিং করেছি। জানতাম উইকেট নিতে পারলে কম রানে প্রতিপক্ষকে বেঁধে ফেলা যাবে। শুরুর দিকে উইকেট থেকে সামান্য সাহায্য পেয়েছি।' তিনটির মধ্যে দুটি ম্যাচ জিতল কালীঘাট। ৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে তারা।