কটক: টানা ২ ম্যাচে জিতে র়ঞ্জিতে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেছে বাংলা। নক আউটে সরাসরি পৌঁছে যাওয়ার জন্য এই ম্যাচে জয় দরকার বাংলা দলের। চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে এদিন টস হারতে হয় অভিমন্যু ঈশ্বরণকে। কিন্তু টস জিতেও সুবিধে করতে পারেনি প্রতিপক্ষ। সৌজন্যে বাংলার অধিনায়ক অনুষ্টুপের ব্যাটিং। এই মরসুমের প্রথম শতরান হাঁকালেন তরুণ এই ডানহাতি ব্যাটার। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন অনুষ্টুপ মজুমদারও। 


মনোজ তিওয়ারির মতো অভিজ্ঞ ব্য়াটারকে বাইরে রেখেই একাদশ সাজিয়েছিলেন অরুণ লাল। ওপেনিংয়ে সুদীপ কুমার ঘরামি ও অনুষ্টুপ নেমে শুরু করেছিলেন। সুদীপ যদিও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিঁকটে পারেননি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই চতুর্থ বলে খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। তিন নম্বরে নামা ঋত্বিক রায় চৌধুরীও বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ১২ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। 


এরপরই দলের হাল ধরেন অভিমন্যু ও অনুষ্টুপ। ৪২ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়েছিল। সেখান থেকে একশোর বেশি রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তাঁরা ২ জনে। অভিমন্যু এই মরসুমে তাঁর প্রথম শতরান হাঁকালেন রঞ্জিতে। সেঞ্চুরি করার পথে ১২ টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। অন্যদিকে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১২ রানে অপরাজিত রয়েছেন অভিমন্যু। ক্রিজে ৭২ রান করে অপরাজিত অনুষ্টুপও এখনও পর্যন্ত ১২টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। 


প্রথম ম্য়াচে বঢোদরার পর দ্বিতীয় ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলা। ৭২ রানে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা। এরপরই বাংলার কোচ অরুণ লাল বলছেন, 'আমি এই দলের কোচ হওয়ার পাশাপাশি সবচেয়ে বড় সমালোচকও। কঠিন সময়ে দারুণ চরিত্র দেখাচ্ছে ছেলেরা। সেটা ঠিক। তবে ব্যাটিংয়ে এখনও ছন্দ আসছে না। টপ অর্ডারের ব্যাটাররা ক্রিজে জমে গিয়েও বড় রান করতে পারছে না। আশা করছি পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে ব্যাটাররা। প্রত্যেক ইনিংসে তিনশো করার দক্ষতা রয়েছে এই দলের। তবে আরও আত্মবিশ্বাস দরকার।'