কলকাতা: যদি রজত পতিদার (Rajat Patidar) আইপিএলের ছন্দে ঝোড়ো ইনিংস খেলে দেন। কিংবা যদি মধ্যপ্রদেশের কোয়ার্টার ফাইনাল জয়ের নায়ক শুভম শর্মা ফের সেঞ্চুরি করে দেন। তৈরি ছিলেন বাংলার বোলাররা।


কিন্তু কে আর জানত যে, রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনালে বাংলা শিবিরের নাভিশ্বাস তুলে দেবেন কোনও এক হিমাংশু মন্ত্রী (Himanshu Mantri)। মঙ্গলবারের আগে পর্যন্ত যিনি সাকুল্যে ৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। এবং সব মিলিয়ে করেছেন ১৬১ রান। সেই মন্ত্রীই এদিন বাংলার বোলারদের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে দিলেন। ইনিংস ওপেন করতে নেমে প্রথম দিনের শেষে ১৩৪ রানে ক্রিজে রয়েছেন উইকেটকিপার-ব্যাটার। রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে প্রথম দিনের শেষে বাংলার বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ (Bengal vs MP) তুলল ২৭১/৬।


মন্ত্রীর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করলেন আরেক নবাগত। অক্ষত রঘুবংশী। ৮১ বলে যিনি ৬৩ রান করলেন। মুকেশ কুমারের বলে হাঁটু গেড়ে বসে আপার কাট করে এমন বাউন্ডারি মারলেন যে, হতবাক হয়ে চেয়ে রইলেন ফিল্ডাররাও।


তবু দিনের শেষে বাংলা শিবিরে অক্সিজেনের সঞ্চার করেছেন আকাশ দীপ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে আইপিএলে খেলা পেসার দুরন্ত ডেলিভারিতে ফেরান রঘুবংশীকে। শেষ বেলায় সারাংশ জৈনকেও বোল্ড করে দেন। আকাশের প্রত্যাঘাতে ম্যাচে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলা। দিনের শেষে বাংলা শিবির আশাবাদী যে, এখান থেকেও ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া সম্ভব।


প্রথম দিনের খেলার শেষে বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে বাংলার কোচ অরুণ লাল বললেন, 'আমাদের বোলাররা শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল। ওদের ৯৭/৪ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে একটা পার্টনারশিপ মধ্যপ্রদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছিল। বিশেষ করে রঘুবংশী। ভয়ডরহীন হয়ে শট খেলছিল। তবে শেষ বেলায় ২ উইকেট তুলে নিয়ে ফের ম্যাচে ফিরেছি আমরা।' কত রানের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ ইনিংস আটকে রাখা সম্ভব? বাংলার কোচ বলছেন, '৩২০ রানের মধ্যে ওদের শেষ করতে হবে। আর বড় জোর ৫০ রানের মধ্যে ওদের শেষ চার উইকেট তুলে নিতে পারলে আমরা ভাল জায়গায় থাকব।'


তবুও বাংলা শিবিরকে উদ্বেগে রাখছে মন্ত্রীর অপরাজিত ইনিংস। তাঁকে ফেরাতে বাংলার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারিকে দিয়েও বল করানো হয়। কিন্তু লাভ হয়নি। অবিচল থেকেছেন মন্ত্রী।


ঈশান পোড়েলকে বাদ দিয়ে এই ম্যাচে খেলানো হচ্ছে বাঁহাতি স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিককে। যে খবর সোমবারই লিখেছিল এবিপি লাইভ। তবে প্রদীপ্ত ও আর এক স্পিনার শাহবাজ আমেদ এক উইকেট করে নিলেও, নজর কাড়তে পারেননি। বরং দুই পেসার মুকেশ ও আকাশ ভাল বোলিং করেন। অরুণ বলছেন, 'পেসাররা ভাল বল করেছে। তবে উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। আমরাও বড় রান তুলব।'


আরও পড়ুন: ৩০ পেরিয়ে যাওয়ার পর অনবদ্য কীর্তির মালিক হলেন অ্যান্ডারসন