মুম্বই: ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের (Umpiring) কাজকে 'থ্যাঙ্কলেস জব' বলা হয়ে থাকে। ভাল সিদ্ধান্তের কোনও সার্টিফিকেট তেমন না থাকলেও একটা ভুল সিদ্ধান্তের জন্য প্রবল সমালোচিত হতে হয় আম্পায়ারদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক মিম শুরু হয়ে যায়। কটাক্ষ, বিদ্রুপ তো আছেই। ভারতের আম্পায়ারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম নীতিন মেনন। আইসিসি এলিট প্য়ানেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই আম্পায়ার এবার এমন একটি মন্তব্য করলেন যা চারিদিকে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটাররা আম্পায়ারদের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করেন বিভিন্নসময় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে।


এক সাক্ষাৎকারে নীতিন মেনন জানান, ''ভারতীয় দল যখন দেশের মাটিতে খেলে, তখন মাঠে অনেককিছুই হয়। দলের অনেক তারকা ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা সবসময় একটা চাপ তৈরির চেষ্টা করেন। কোনও ৫০-৫০ সিদ্ধান্ত যেন তাঁদের পক্ষেই যায়, সেই বিষয়ে চাপ দিতে থাকেন আম্পায়ারদের। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের কন্ট্রোলের মধ্যে রাখতে পারি চাপের মধ্যেও, তবে ফোকাস নষ্ট হয় না।'' মেনন আরও বলেন, ''আইসিসি প্যানেলের ভারতীয় আম্পায়ারদের মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি গ্রাহ্যতা পেলে সেই দায়িত্ব পালন করার চাপও আলাদা। প্রথম প্রথম যখন প্য়ানেলে আমার নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল, তখন খুব বেশি অভিজ্ঞতা আমার ছিল না। কিন্তু গত তিন বছর আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করেছে। অনেক বেশি পরিণত হতে পেরেছি এই বিষয়ে।''


কোভিডের জন্য শুরুর দিকে বেশিরভাগ ম্যাচ দেশেই দায়িত্ব সামলেছিলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দায়িত্ব সামলেছেন। ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দায়িত্ব সামলেছেন। ২০২০ সালের জুন থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৫টি টেস্ট, ২৪টি ওয়ান ডে ও ২০টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে দায়িত্ব সামলেছেন মেনন। সামনের মাসেই অ্যাশেজেও আম্পায়ার হিসেবে নিজের অভিষেক করবেন। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে দায়িত্ব সামলাতে দেখা যাবে তাঁকে। এই বিষয়ে এই ভারতীয় আম্পায়ার বলছেন, ''দারুণ একটা সিরিজ হতে চলেছে। গত বছর এই সময়টা আমি ইংল্যান্ডে ছিলাম। যেই সময় তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজ খেলছি। 'বাজবল' সম্পর্কে ধারণা জন্মেছে। শেষবার কোভিডের জন্য অ্যাশেজের দায়িত্ব সামলাতে পারিনি। এবার সেই সুযোগ পাচ্ছি। আমি ভীষণ উত্তেজিত এই মুহূর্তটার জন্য। অ্যাশেজে দায়িত্ব সামলানো যে কোনও আম্পায়ারের কাছে স্বপ্ন থাকে।''