মিলান: ২০১৩ সালে ইতালির ক্লাব এসি মিলানের হয়ে খেলার সময়ে রোমের একটি পানশালায় আলবেনিয়ার এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৯ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতেই হবে ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার রবিনহোকে। সাজার বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। ফলে জেলে যেতেই হবে এই ফুটবলারকে। 


২০১৩ সালে ২৩ বছরের এক তরুণীকে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রবিনহো সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে রোবিনহোকে দোষী সাব্যস্ত করে ইতালির আদালত। ৯ বছরের সাজা দেওয়া হয়। তার পর থেকে সেই সাজার বিরুদ্ধে বারংবার আবেদন করেলেও তা খারিজ হয়েছে। শেষ আবেদনেও একই ফল মিলেছে। আর কোথাও আবেদন করতে পারবেন না তিনি। এবার জেল খাটতেই হবে তাঁকে।


মিলানের সিও ক্যাফেতে রবিনহো ও তাঁর সঙ্গীরা ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় রবিনহোর পাশাপাশি তাঁর বন্ধু রিকার্ডো ফালকাওয়েরও কারাদণ্ড হয়েছে। তবে বাকি চার অভিযুক্ত ধরা পড়ার আগেই ইতালি ছেড়ে পালিয়ে যান। ফলে তাঁদের সাজা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে রবিনহো ও ফালকাওকে সাজা ভোগ করতেই হচ্ছে। রোমের আদালত যে রায় দিয়েছে, এর বিরুদ্ধে আর কোনও আবেদন জানানোর সুযোগ তাঁদের কাছে নেই। তবে রবিনহোকে ইতালির জেলে থাকতে হবে ব্রাজিলেই তিনি কারাদণ্ড ভোগ করবেন, সেটা এখনও জানা যায়নি।


৩৭ বছরের রবিনহো ২০২০ সাল পর্যন্ত পেশাদার ফুটবল খেলেছেন। ২০১৭ সালে আদালত তাঁর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেও, সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়েছিলেন বলে এই ফুটবলারকে মাঠ থেকে সরে যেতে হয়নি। কিন্তু এবার আর তাঁর কাছে জেলে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।


রবিনহোর আইনজীবী দাবি করেছিলেন, মদ্যপ অবস্থায় এই ফুটবলার ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় মিলিত হয়েছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ওই তরুণীকে ৬০ হাজার ইউরো দিতে হবে রবিনহোকে।