সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রক্ষাকবচ তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের (Sheikh Sufian)। ভোট পরবর্তী মামলার (Post Poll Violence Case) শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, এখনই শেখ সুফিয়ানকে গ্রেফতার করতে পারবে না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই (CBI)। ৩১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। তত দিন পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবেন না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।


এর আগে, কলকাতা হাই কোর্টে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন সুফইয়ান। কিন্তু হাই কোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। এর পর হাই কোর্টের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন সুফিয়ান। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে (Nandigram) তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন সুফিয়ান। সুফিয়ানের বিরুদ্ধে বিজেপি (BJP) কর্মীকে খুনের অভিযোগে তাঁর  বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই।


গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের ফল ঘোষণার পর নন্দীগ্রামের একাধিক এলাকায় বিজেপি-র উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দেবব্রত মাইতি নামে বিজেপি-র এক কর্মীকে খুনও করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিজেপি জানায়,দেবব্রতর বাড়িতে হামলা চালান সুফিয়ান এবং তাঁর সহযোগীরা। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে দু’দিন পর মৃত্যু হয় তাঁর। 


আরও পড়ুন: Mausam Benazir Noor Update: পুরসভার ডায়েরি থেকে বাদ গেল নাম, অসন্তোষ লুকোলেন না মৌসম নুর


নন্দীগ্রামের চিল্লোগ্রামের বাসিন্দা তথা ছিলেন দেবব্রত। তাঁর পরিবার মানবাধিকার কমিশনের কাছে যে অভিযোগ দায়ের করেন, তাতে অভিযুক্তদের তালিকায় সুফিয়ানের নাম ছিল। তার ভিত্তিতেই সুফিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তাঁকে জেরাও করে সিবিআই।


সুফিয়ান যদিও শুরু থেকেই বিজেপি এবং নিহতের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বরং তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর জন্য শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তোলেন তিনি। তবে বিজেপি-র চোখ রাঙানিকে ভয় পান না বলেও জানিয়ে দেন। সুফিয়ান বলেন, ‘‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। আমাদের লড়াই করার সাহস আছে। আমি কোনও হামলায় জড়িত নই। দেবব্রতের মৃত্যুর সঙ্গে কোনও যোগ নেই আমার। এ ভাবে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না।’’ এমনকি বিজেপি-র নির্দেশেই মানবাধিকার কমিশন কাজ করছে বলে অভিযোগ তোলেন সুফিয়ান।