সাও পাওলো: ১৯৮৩-তে চলে গিয়েছেন তিনি। যে কবরখানায় তাঁর সমাধি ছিল, তারা এবার জানিয়ে দিল, সমাধিতে তাঁর হাড়গোড় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মৃত্যুর এত বছর পরেও এভাবেই চরম অবহেলিত ও বিতর্কিত হয়ে রইলেন বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ম্যানুয়েল ফ্রান্সিস্কো ডোস স্যান্টোস ওরফে গ্যারিঞ্চা।


গ্যারিঞ্চার ডাকনাম ছিল দ্য জয় অফ দ্য পিপল। খেলতেন রাইট উইংয়ে। ১৯৫৮ আর ১৯৫২-র বিশ্বকাপে তাঁর জাদু দেখেছিল গোটা দুনিয়া। ৮৩-তে তাঁর প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল দীর্ঘদিনের সঙ্গী নেশা। রিও ডি জেনেইরো থেকে ৪০ মাইলের মত দূরে তাঁর নিজের শহর মাজের এক কবরখানায় চিরকালের মত ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।

গতকাল জানা গিয়েছে, ওই সমাধি থেকে তাঁর হাড়গোড় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, সেগুলোর কী হয়েছে তারও কোনও রেকর্ড নেই।

ব্রাজিলীয় কবরখানাগুলিকে দুভাগে ভাগ করা যায়- এক, যাতে কবরে শায়িত থাকে দেহ, দুই, যাতে থাকে ড্রয়ারের মত কংক্রিটের কুলুঙ্গি, যার মধ্যে রাখা হয় মৃতের অস্থি বা অস্থিভস্ম। মাজে শহরের রেইজ ডা সেরা সমাধিস্থলে গ্যারিঞ্চার নামে দুটি সমাধি রয়েছে। একটি গ্যারিঞ্চার প্রকৃত সমাধিস্থল, যেখানে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে শেষ শয্যায় শায়িত তিনি, দ্বিতীয়টি তৈরি হয় ৮৫-তে, এটি একটি স্মারকস্তম্ভ বা ওবেলিস্ক।

শহরের মেয়রের অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, দুটির মধ্যে ঠিক কোনটিতে গ্যারিঞ্চার হাড়গোড় ছিল তাঁরা জানেন না। তবে সেগুলি হারিয়েছে বলে মনে করেন না তাঁরা। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে, হাড়গোড় পরীক্ষার জন্য ডিএনএ নমুনা চাওয়া হয়েছে গ্যারিঞ্চার পরিবারের কাছ থেকে।