লন্ডন: ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ নির্বাচিত হলেন ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। দলের সেন্টার মিডফিল্ডার হ্যারি মারগুইরের বদলে পর্তুগিজ ফুটবল তারকাকে নতুন কোচ করল ম্যাঞ্চেস্টার। রেড ডেভিলসদের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে ব্রুনোকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে অধিনায়ক হিসেবে ব্রুনো দায়িত্ব সামলেছেন। তবে এই প্রথমবার পুরোদমে দায়িত্ব পেলেন।


২০২০ সালে ম্যান ইউতে যোগ দেওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৮৫ ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন মোট ৬৪টি। অ্যাসিস্ট করেছেন ৫৪টি। ৩০ বছরের ম্যান ইউয়ের সদ্য প্রাক্তন অধিনায়ক হওয়া হ্যারি মারগুইয়ে নিজের সোশ্য়াল মিডিয়ায় ক্লাবের সব সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি ক্লাবের জার্সিতে যতদিন খেলবেন নিজের ১০০ শতাংশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।


এদিকে, প্রাক মরশুম ম্যাচে গোলের বন্যা বায়ার্ন মিউনিখের (Bayern Munich)। প্রতিপক্ষকে ২৭-০ গোলে উড়িয়ে দিল জার্মানির (Germany) শক্তিশালী ক্লাব! টমাস তুচেলের দল জিতল ২৭-০ ব্যবধানে। একাই ৫ গোল করেন জামাল মুসিয়ালা। ৫ গোল করলেন ম্যাথিস টেলও। ৫ গোল করলেন মার্সেল স্যাবিৎজার। ৩ গোল করলেন সার্জ গ্যানবারি। এছাড়া গোল করেন লিরয় সানে, আলফন্সো ডেভিস, কনরাড লেইমার, নুসেইর মাজরাউই, দায়ত উপামেচানো, সাদিও মানে, রাফায়েল গুরেইরো, রায়ান গ্র্যাভেনবার্ক ও কিংসলে কোম্যান। প্রথমার্ধের শেষে ১৮-০ এগিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরও ৯ গোল হয়। প্রথমার্ধেই ৫ গোল করে ফেলেন মুসিয়ালা। গ্যানবারিও প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক করেন। টেলও প্রথমার্ধেই ৫ গোল করে ফেলেন। দ্বিতীয়ার্ধে ৫ গোল করেন স্যাবিৎজার। দল বড় ব্যবধানে জিতলেও, মাত্র ১ গোল করলেন লিভারপুল ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়া মানে।


এফসি রটাচ-এগার্নের জালে ২৭ গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। জামাল মুসিয়ালাসহ চারজন করেছেন হ্যাটট্রিক।মঙ্গলবার প্রাক-মরশুমের প্রথম ফ্রেন্ডলি ম্যাচে এফসি রটাচ-এগার্নের বিপক্ষে খেলতে নেমে গোলের উৎসবে মেতে ওঠেন টমাস তুচেলের ছেলেরা। হ্যাটট্রিক করেছেন মুসিয়ালা, গেনাবরি, সাবিৎজার ও ম্যাথিস টেল। গোল পেয়েছেন লেরয় সানে, কোমান, উপামেকানো-সহ মোট ১৩ জন। সাদিও মানে গোল পাচ্ছিলেন না। নব্বই মিনিটে তিনিও গোল করে প্রতিপক্ষের বুকে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছেন।


এর আগে এই দুই দল দু’বার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথম দফার ফ্রেন্ডলি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেবার মাঝারি মানের দলটির জালে কুড়ি গোল দিলেও বুন্দেশলিগার চ্যাম্পিয়নদের হজম করতে হয়েছিল দু’টি গোল। দ্বিতীয় দফায় (২০১৯) বায়ার্ন গুনে গুনে ২৩ বার এগার্নের জালে বল ঢুকিয়েছিল। এবার ২৭ গোল দিল তারা।