কলকাতা: সেঞ্চুরি করলেন। তাও আবার গোলাপি বলে। নৈশালোকের ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens)। মনে করা হয়, গোলাপি বলে ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হলেন সন্দীপ তোমর। ১১৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন ক্রিকেটের নন্দনকাননে। কিন্তু তাও দলকে বিপন্মুক্ত করতে পারলেন না। বরং ট্রফি থেকে আরও দূরে সরল টাউন ক্লাব। অলৌকিক কিছু না ঘটলে সিএবি প্রথম ডিভিশন লিগে কালীঘাট ক্লাবের (Kalighat Club vs Town Club) চ্যাম্পিয়ন হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।


সুদীপ ঘরামি (১৮৫ রান) ও ঋতম পোড়েলের (১০৫ রান) জোড়া সেঞ্চুরির সুবাদে কালীঘাট ক্লাবের প্রথম ইনিংসে তোলা ৪৮০ রানের জবাবে মাত্র ২৯৩ রানে অল আউট হয়ে গেল টাউন ক্লাব। প্রথম ইনিংসে ১৮৭ রানের বিশাল লিড পেল কালীঘাট ক্লাব। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৮ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১০৮ রান তুলে ফেলেছে কালীঘাট। সব মিলিয়ে ২৯৫ রানে এগিয়ে কালীঘাট ক্লাব। কাল, সোমবার ম্যাচের শেষ দিন।


বৃষ্টিতে রোজই খেলা কোনও না কোনওভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে ওভার। তবে চতুর্থ দিন পুরো সময় খেলা হয়। তাতে ২৯৩ রানে শেষ হয়ে যায় টাউন ক্লাবের প্রথম ইনিংস। সন্দীপ ছাড়া রান পেয়েছেন টাউন ক্লাবের অধিনায়ক নাভেদ আমেদ। ৫৭ করেন তিনি। ওমপাল বোকেন ৫৬ রান করেন। কিন্তু কালীঘাটের প্রথম ইনিংসের বিশাল রানের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। কালীঘাটের হয়ে পেসার প্রীতম চক্রবর্তী ৫১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন। বিকাশ সিংহ ৫৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। একটা সময় বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলা অলরাউন্ডার বি অমিত ৩৯ রানে ৩ উইকেট নেন।


কালীঘাটের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ওপেন করতে নেমে রণজ্যোৎ সিংহ খইরা ৬০ রানে অপরাজিত রয়েছেন। শ্রেয়াংশ ঘোষ ৪৪ রান করে তাঁর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন।


শনিবার ১৫২/৪ স্কোরে শেষ করেছিল টাউন ক্লাব। রবিবার সেই স্কোরের সঙ্গে মাত্র ৩ রান যোগ করার পরই টাউন ক্লাব দিনের প্রথম উইকেটটি হারায়। ফেরেন সক্ষম চৌধুরী। তাঁর উইকেটটি তুলে নেন প্রীতম চক্রবর্তী।


তবে খানিকটা খেলার গতির বিরুদ্ধেই ষষ্ঠ উইকেটে ১১১ রানের লড়াকু পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন সন্দীপ তোমর ও ওমপাল বোকেন। মনে করা হয়েছিল, পাল্টা লড়াই করবে টাউন ক্লাব। কিন্তু দুজনে ফিরতেই টাউনের ইনিংসে ধস নামে।



আরও পড়ুন: ABP Exclusive: ভারত vs পাকিস্তান না হলেও ইডেনে হয়তো বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলবে ভারত, পাকিস্তান দুই দলই