কলকাতা: বাগান সমর্থকদের জন্য সুখবর। সূত্রের খবর, নতুন মরসুমের মোহনবাগান দলে নিতে পারে অস্ট্রেলিয়ার স্ট্রাইকার জেসন কামিংসকে। এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তবে আগামী ৪ জুনের পর সরকারিভাবে সবুজ মেরুন ক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারি বিবৃতি দিয়ে জানানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। গত কাতার বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াডেও ছিলেন কামিংস। শেষ মরসুমে অস্ট্রেলিয়া ক্লাব ফুটবলে সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে ৪৮ ম্যাচে ২৭ গোল করেছেন। নতুন মরসুম শুরুর আগে এরকম বিশ্বকাপারের দলে আসার খবরে অবশ্যই খুশি হবেন সবুজ মেরুন সমর্থকরা।
কামিংসের এজেন্টের সঙ্গে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টসের কথা প্রায় পাকাপাকি হলেও এখনও পর্যন্ত কিছু কাগজপত্রের কাজ বাকি রয়েছে। ওয়েস্ট কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে দুর্দান্ত কিছু গোল করেছেন বিশ্বকাপার স্ট্রাইকার। ২০২২ সালে সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে ২৫ ম্যাচ খেলে ১৬ গোল করেছেন। অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও স্কটল্যান্ডের জার্সিতেও আন্তর্জাতিক স্তরে ফুটবল খেলেছেন জেসন।
গত আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নতুন মরসুমের আগেই ঢেলে দল সাজানো শুরু করেছে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। আকাশ মিশ্রাকেও দলে নেওয়ার ব্যাপারে প্রায় পাকা কথা হয়ে গিয়েছে।
কিছুদিন আগেই, বিদায় জানালেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হোসে লুই এসপিনোসা অরোয়ো ওরফে তিরি (Tiri)। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে তিনি জানিয়ে দিলেন তাঁর সিদ্ধান্তের কথা। গত তিন বছর এটিকেমোহনবাগানের সঙ্গে ছিলেন তিনি। এ বার হয়তো অন্য ক্লাবের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে দেখা যাবে তাঁকে।
সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করে তিরি ট্যুইটারে জানিয়ে দিয়েছেন, ''তিন বছরের সম্পর্কের জন্য এটিকে মোহনবাগানকে ধন্যবাদ। সমর্থকদের ভালবাসার জন্য তাদের ধন্যবাদ। অন্যভাবেও বিদায় জানাতে পারতাম। কিন্তু খুব দ্রুত সব কিছু হয়ে গেল। কিন্তু নতুন সুযোগ পেলে জীবনে এ রকম অনেক সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। সবাইকে খুব মিস করব।''
২০১৫-য় প্রথম ভারতে আসেন তিরি। এটিকে এফসি-তে সই করে হিরো আইএসএলের গ্রহে প্রবেশ করেন তিনি। ২০১৬-য় চ্যাম্পিয়ন এটিকে দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৭-য় জামশেদপুর এফসি-তে যোগ দেন। ২০২০-তে জামশেদপুর ছেড়ে এটিকে মোহনবাগানে যোগ দেন তিনি। এই পাঁচ বছরে হিরো আইএসএলে মোট ১১০টি ম্যাচ খেলেছেন তিরি। এর মধ্যে তিনটি গোল করেছেন ও দুটিতে অ্যাসিস্ট করেছেন। তিনটি গোলই করেন জামশেদপুর এফসি-র হয়ে খেলার সময়, যে ক্লাবের হয়ে তিনি ৪৮টি ম্যাচ খেলেছেন। এটিকে-র হয়ে ২৪টি ও এটিকে মোহনবাগানের হয়ে ৩৮টি ম্যাচ খেলেন।