কলকাতা: স্থানীয় ক্রিকেটে ঘটনাবহুল দিন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে রইল শুক্রবার। একই দিনে পরাজিত হল ময়দানের দুই প্রধান - ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) সিএবি পরিচালিত প্রথম ডিভিশন লিগের সেমিফাইনালে মোহনবাগানকে (Mohunbagan) ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল ভবানীপুর (Bhawanipur)। সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) ২১৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিল কালীঘাট ক্লাব (Kalighat Club)। ফাইনালে ভবানীপুরের মুখোমুখি হবে তারা।


বৃষ্টির জন্য বিঘ্নিত হয়েছে দুটি ম্যাচই। প্রথম সেমিফাইনালে প্রথম ব্যাট করে ৮১ ওভারে ২৪৯ রান করে অল আউট হয়ে যায় মোহনবাগান। রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের পর এই ম্যাচে মাঠে নেমে পড়েছিলেন বাংলা দলের অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ-সহ চার সেমিফাইনালিস্ট ক্লাবে খেলা সব ক্রিকেটারই। বল হাতে ভবানীপুরের অলোক প্রতাপ সিংহ ও দুর্গেশ দুবে দাপট দেখান। মাত্র ৬৮ রানে ৫ উইকেট নেন অলোক। দুর্গেশ ৫৩ রানের বিনিময়ে নেন ৪ উইকেট। দুজনের বোলিং দাপটের মধ্যেই ব্যাট হাতে পাল্টা লড়াই করেন অভিমন্যু । মোহনবাগানের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করেন তিনিই। ১১২ বল খেলে ৭০ রান করেন তিনি। বাকি ব্যাটারদের কেউই আর বড় রান পাননি।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভবানীপুরের হয়ে ক্রিজে দাঁড়িয়ে যান অভিষেক রামন। রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে রান পাননি বলে সমালোচিত হয়েছিলেন। স্থানীয় প্রথম ডিভিশন লিগের সেমিফাইনালে রান করে যেন কিছুটা হলেও মনোবল বাড়ালেন অভিষেক। ২৪৯ বলের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন তিনি। ১২৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৭৬.৪ ওভারে ২৪৪/৩ তোলার পর ভিজেডি পদ্ধতিতে ৭ উইকেটে জয়ী ঘোষণা করা হয় ভবানীপুরকে।


অন্য সেমিফাইনালও বৃষ্টির কারণে বিঘ্নিত হয়। সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ১২৬ ওভারে ৪২৮/৬ তুলেছিল কালীঘাট ক্লাব। রবিকান্ত শুক্ল ১৯৩ বলে ১২৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ১৮২ বলে ৮১ রান করেন শ্রেয়াংস ঘোষ। রান তাড়া করতে নেমে ৫০.৪ ওভারে ১৫৪/৩ -এর বেশি তুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ভিজেডি পদ্ধতিতে ২১৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়ী ঘোষণা করা হয় কালীঘাট ক্লাবকে।


আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জে কেক কেটে পালন হচ্ছে মেসির জন্মদিন, ব্যাপারটা কী?