লন্ডন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (Champions League) শেষ ষোলোয় চেলসি বনাম বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ম্যাচে অভিনব ঘটনা। ভিড়ের চাপে এমনই পরিস্থিতি হয় যে, ম্যাচ শুরু হয় ১০ মিনিট দেরিতে।


স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ম্যাচ দেখতে উপচে পড়েছিল ভিড়। গোটা রাস্তায় এমন জনসমাগম হয় যে, বরুসিয়ার টিমবাস তাতে আটকে পড়ে। যে কারণে বরুসিয়ার ফুটবলারদের মাঠে পৌঁছতে দেরি হয়। পিছিয়ে যায় কিক অফ। নির্ধারিত সময়ের মিনিট দশেক পরে শুরু হয় খেলা। 


বরুসিয়ার কর্তা এডিন টেরিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের দেরি হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত মাঠে পৌঁছতে পেরেছি। আমরা তৈরি। পরের পর্বে যাওয়ার জন্য় আত্মবিশ্বাসী। স্টেডিয়ামের বাইরে ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। তবে তাতে আমাদের মনোবল নষ্ট হবে না।'


ফাইনালে ওঠার দৌড়ে এগিয়েছিল জার্মানির দল। অন্যদিকে ঘরের মাঠে চেলসির পরীক্ষা ছিল অনেক কঠিন। কারণ, এক গোলের ঘাটতি মিটিয়ে শেষ আটে যাওয়ার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে অন্তত ২ গোলের ব্যাবধানে জিততে হতো তাদের। 


কিন্তু ম্যাচে দেখা গেল, অগ্নিপরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ চেলসি। শেষ ৭ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি ম্য়াচে জিতেছিল চেলসি। তবে মঙ্গলবার স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বরুসিয়াকে ২-০ গোলে হারাল চেলসি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে, ৪৩ মিনিটের মাথায় গোল করে চেলসিকে এগিয়ে দেন রাহিম স্টার্লিং। বিরতির পর ২-০ করেন কাই হাভার্ৎজ। পেনাল্টি থেকে গোল করে ২-০ করে দেন তিনি। বাকি ম্যাচে আর কোনও গোল হয়নি। বরুসিয়া বারবার আক্রমণ করেও চেলসির গোলমুখ খুলতে পারেনি।


ম্যাচে বলের দখল অনেক বেশি ছিল বরুসিয়ার পায়ে। ৫৮ শতাংশ বলের দখল রেখেও আর কোনও গোল করতে পারেনি জার্মানির দল। দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যায় চেলসি। আর শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিতে হল বরুসিয়াকে।


স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের ম্যাচটিতে শুরু থেকেই আক্রমণকে পাখির চোখ করেছিল দুই দল। কিন্তু আক্রমণে ডর্টমুন্ডের চেয়ে চেলসিই বেশি এগিয়ে ছিল। দুই একবার কাছাকাছিও গিয়েছিল তারা। তবে গুছানো আক্রমণ না হওয়াতে পাওয়া হচ্ছিল না গোল।


এর মাঝে ডর্টমুন্ড ধাক্কা খায় তাদের উইঙ্গার হুলিয়ান বেনেডিত চোটে পড়ে মাঠ ছেড়ে গেলে। অন্য দিকে চেলসিকে সবচেয়ে বড় বিপদে পড়তে হয় ম্যাচের ১৭ মিনিটে। তবে ফ্রি-কিক থেকে মার্কো রিউসের শটে পুরো শরীর এলিয়ে দিয়ে হাত ছুঁয়ে বল বাইরে পাঠিয়ে চেলসিক রক্ষা করেন গোলরক্ষক কেপা। তারপর থেকে আর বড় কোনও সুযোগ পায়নি বরুসিয়া।


আরও পড়ুন: আমদাবাদের পিচ নিয়ে রহস্য, বাইশ গজ নিয়ে ধোঁয়াশা রাখছে বোর্ড?