বাকু: দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম গেম গতকাল ড্র হয়েছিল। আজ দ্বিতীয় গেমেও ড্র করলেন আর প্রজ্ঞাননন্দ ও ম্যাগনাস কার্লসেন। এদিন ৩০টি চালের পরই দ্বিতীয় গেম ড্র হয়ে যায়। আগামীকাল টাই ব্রেকের মাধ্যমেই চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত করা হবে। প্রজ্ঞানন্দের সামনে বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতে ইতিহাস গড়ার হাতছানি রয়েছে। বিশ্বনাথন আনন্দ ২০০০ ও ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। তিনি কিংবদন্তির আনন্দের মতোই বিশ্বখেতাব জিততে পারেন, কি না, সেইদিকেই তাকিয়ে সকল ভারতবাসী।
আগামীকাল দুটো টাই ব্রেকে মুখোমুখি হবেন প্রজ্ঞাননন্দ ও কার্লসেন। ১৮ বছরের ভারতের বিস্ময় প্রতিভা কার্লসেনকে বেগ দিতে পারেন কি না তা দেখার। প্রথম রাউন্ডে ৩০টি চাল খেলেছিলেন ২ প্রতিদ্বন্দ্বী। দ্বিতীয় রাউন্ডের মত প্রথম রাউন্ডেও ৩০ চালের খেলা হয়েছিল। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও বিশ্বের ১ নম্বর দাবাডু কার্লসেন জানিয়েছিলেন যে প্রথম গেমের আগে খেতে পারছিলেন না। পেটের সমস্য়ায় ভুগছিলেন। আগামীকাল আশা করা যায় প্রজ্ঞাননন্দ কার্লসেনকে সমস্যায় ফেলে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার যিনি জিতবেন, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি তিনি পেয়ে যাবেন ১ লক্ষ ১০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কারমূল্য। ভারতীয় মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় এক কোটি টাকা।
২১ বছর আগে (২০০২ সালে) বিশ্বনাথন আনন্দ শেষ ভারতীয় হিসাবে দাবা বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। তারপর থেকে আর কোনও ভারতীয় বিশ্বখেতাব জেতেননি। সোমবার ফ্যাবিয়ানো কারুয়ানাকে হারিয়ে আনন্দের পর মাত্র দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে ফাইনালে পৌঁছে বিশ্বখেতাব জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন প্রজ্ঞাননন্দ। বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছলেও, তেমনটা যে তিনি টুর্নামেন্টের শুরুতে কল্পনাও করেননি, সেকথাও জানিয়েছিলেন প্রজ্ঞাননন্দ। তবে তিনি জানিয়েছিলেন যে বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ুর বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই করবেন তিনি। নিজের কথা রাখলেন ভারতীয় তরুণ।
নরওয়ের কার্লসেনের বিরুদ্ধে প্রথম রাউন্ডে এক চুলও জমি ছাড়েননি তিনি। কার্লসেনের বিরুদ্ধে এই নিয়ে ২০ বার মুখোমুখি হচ্ছেন প্রজ্ঞাননন্দ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এয়ারথিংজ় মাস্টার্সে জয় পেয়েছিলেন প্রজ্ঞাননন্দ। তবে হেড-টু-হেডে খানিকটা এগিয়েই নরওয়ের দাবাড়ু। তাঁকে বর্তমান বিশ্বের সেরা দাবাড়ু মনে করেন অনেকেই। কার্লসেনের রেকর্ডও ঈর্ষণীয়। তবে তাঁর কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেতাব অধরাই রয়েছে। সেই অধরা খেতাব জয়ের লক্ষ্যেই এদিন প্রজ্ঞাননন্দের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চোট সারিয়ে ফিরেই টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলারদের তালিকায় লম্বা লাফ বুমরার, ODI-তে চারে গিল