কলকাতা: আগের ম্য়াচেই ছুঁয়ে ফেলেছিলেন। এবার ইয়ান বোথামকে (Ian Botham) টেক্কা দিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংল্য়ান্ডের (England Cricket Team) জার্সিতে সর্বাধিক উইকেট শিকারি হয়ে গেলেন ক্রিস ওকস। গতকাল পাকিস্তানের ইনিংসের শেষ উইকেট হিসেবে হ্যারিস রউফকে ফিরিয়েছিলেন। সেই উইকেট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপের মঞ্চে সর্বাধিক ৩১টি উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন ওকস। বোথামের ঝুলিতে রয়েছে ৩০ উইকেট।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে ফিল ডিফ্রেইটস। তিনি বিশ্বকাপের ইতিহাসে ইংল্যান্ডের জার্সিতে ২৯ উইকেট নিয়েছেন। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ টেস্ট স্পেশালিস্ট বোলার জিমি অ্যান্ডারসন। তিনি ২০১৫ সালে শেষবার বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। ২০০৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলে মােট ২৭ উইকেট নিয়েছেন। স্পিনার আদিল রাশিদ ও পেসার মার্ক উড ২৪টি করে উইকেট নিয়েছেন বিশ্বকাপের মঞ্চে।
বাবর আজ়মদের মধ্যে আলোচনা চলছিল, যদি অভাবনীয় কিছু হয়। যদি অসম্ভব সম্ভব হয়। যে কারণে দুদিন প্র্যাক্টিসে ইডেনে বড় শটের মহড়া সেরে রেখেছিলেন পাক ব্যাটাররা। প্রথমে ব্যাট করে যাতে চারশোর পিছনে দৌড়নো যায়।
কিন্তু শনিবার বাবর আজ়ম টস হারতেই সেই সম্ভাবনারও সলিলসমাধি। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ৩৩৭/৯ তুলল। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যা রেকর্ড। এর আগে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩৩৪/৯। ট্রেন্ট ব্রিজে সেই ম্যাচে হেরে গিয়েছিল ইংল্যান্ডই। ইডেনে ইংল্যান্ড ইনিংসের শেষে যখন পাকিস্তানের সামনে সেমিফাইনালে যাওয়ার অঙ্ক কষা হল, অনেকে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।
নিউজ়িল্যান্ডকে নেট রান রেটে ছাপিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কনফার্ম করতে ৬.৪ ওভারে ৩৩৮ তুলতে হতো পাকিস্তানকে! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। ৪০ বলে ৩৩৮ রান তুলতে হতো বাবর আজ়মদের। ৪০টি বলে টানা ছক্কা মারলেও যা সম্ভব ছিল না। সেক্ষেত্রে ২৪০ রান উঠত বোর্ডে। ৯৮ রানে ম্যাচ হারত পাকিস্তান।
পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ৯৩ রানের ব্যবধানে হারল। ৪৩.৩ ওভারে মাত্র ২৪৪ রানে অল আউট হয়ে গেল তারা। ৪৫ বলে ৫১ রান করে একমাত্র লড়াই করলেন আঘা সলমন। বাবর আজ়ম (৪৫ বলে ৩৮ রান), মহম্মদ রিজ়ওয়ানদের (৫১ বলে ৩৬ রান) দেখে মনেই হয়নি মাঠে নামার ইচ্ছে রয়েছে বলে। বরং শেষ দিকে চালিয়ে খেলে হ্যারিস রউফ (২৩ বলে ৩৫ রান) ও মহম্মদ ওয়াসিম (১৪ বলে ১৬ অপরাজিত) দর্শকদের কিছুটা বিনোদন দিলেন।