হিন্দমোটর: বুলা চৌধুরীর (Bula Chowdhury) বাড়িতে চুরির তদন্তে এবার CID। 'পদ্মশ্রী' সাঁতারুর হিন্দমোটরের দেবাইপুকুরের বাড়িতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করলেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দার দফতরের আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশও।

নামী সাঁতারু বুলা চৌধুরী অবশ্য হিন্দমোটরের বাড়িতে থাকেন না। তিনি থাকেন কসবায়। হিন্দমোটরের বাড়িটি তালাবন্ধই থাকে। একজন কেয়ারটেকার থাকেন বলেই জানা যাচ্ছে। ফলে বাড়িটি যে একপ্রকার ফাঁকাই পড়ে থাকে সেই খবর পুলিশের কাছেও ছিল। আগেও একবার এই বাড়িতে চুরি হয়েছিল। উত্তরপাড়া থানা তারপর থেকেই পুলিশ মোতায়েন করেছিল। যদিও সেই প্রহরা উঠে যায় সম্প্রতি। তারপর ফের চুরির ঘটনা। গত ১৯ জুলাই শেষবার ওই বাড়িতে এসেছিলেন বুলা। গত শুক্রবার চুরির ঘটনা সামনে আসে। বুলা জানান যে, তাঁর পদ্মশ্রী সহ অন্যান্য অনেক পুরস্কার, পদক, স্মারকও চুরি গিয়েছে।

বুলা জানিয়েছেন, হুগলির হিন্দমোটরের দেবাইপুকুর রোডে তাঁর আদি বাড়িতে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে । এই বাড়িতে তিনি ও তাঁর পরিবার এখন আর থাকেন না । মাঝে মধ্যে যাতায়াত করেন । ফলে অধিকাংশ সময়ে ফাঁকাই থাকে বাড়ি । সেই ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়েই চুরির ঘটনা ঘটেছে । উত্তরপাড়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । ঘটনাস্থলে বাহিনী নিয়ে শুক্রবারই গিয়েছিলেন উত্তরপাড়া থানা আইসি অমিতাভ সান্যাল । শনিবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়। রাতের দিকের খবর, চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে একজনকে ধরেছে পুলিশ।

হিন্দমোটরে বুলার বাড়ির পেছন দিকে রেললাইন রয়েছে। সেই দিক থেকেই গ্রিল কেটে ভিতরে ঢোকে চোর। বাড়িতে তিনটি সিসিটিভি লাগানো রয়েছে। তবে সবগুলোকে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল বেশ পরিকল্পনা করেই। পুলিশ আধিকারিকরা প্রাথমিক তদন্তের পরই জানিয়েছিলেন যে, বেশ আঁটঘাঁট বেঁধেই চুরি করা হয়েছিল। রেকি করা হয়েছিল আগে থেকেই।

বুলার বাড়ি থেকে বেশ কিছু পদক চুরি করা হয়েছে। সেগুলি বড় ড্রয়িংরুমে সাজানো ছিল। তবে সেই ঘরে আরও মূল্যবান কিছু শিল্পকর্ম থাকলেও সেগুলি চুরি করা হয়নি। বাড়ি যেহেতু ফাঁকা ছিল, ঠিক কতদিন আগে চুরি হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

এদিকে, রাজনৈতিক কাজে হুগলি সফরে গিয়ে বুলার পদ্মশ্রী চুরির ঘটনায় নিন্দা করেছেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।