রিও ডি জেনেইরো: প্রত্যাশার বিপুল চাপ যাতে পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে না পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য ফাইনালের আগে দীপা কর্মকারকে অলিম্পিক ভিলেজে গৃহবন্দি করলেন কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী। তিনি দীপার মোবাইল ফোন থেকে সিম খুলে নিয়েছেন। আপাতত কয়েকদিন বাড়ির লোকজন এবং রুমমেট সাইখম মীরাবাই চানু ছাড়া আর কারও সঙ্গে কথা বলার অধিকার নেই দীপার। মঙ্গলবার তাঁর জন্মদিন। কিন্তু এবারের জন্মদিনে অনুশীলন ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না ত্রিপুরার এই বাঙালি জিমন্যাস্ট।

 

প্রথম ভারতীয় জিমন্যাস্ট হিসেবে অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করেই ইতিহাস গড়েছিলেন দীপা। ফাইনালে পৌঁছে তিনি এবার পদকের আশাও জাগিয়ে তুলেছেন। সারা দেশ তাঁর কাছ থেকে পদকের আশা করছে। দীপা এই প্রত্যাশার চাপ অনুভব করুন, তা কোনওভাবেই চাইছেন না তাঁর কোচ। সেই কারণেই তিনি এই ব্যবস্থা নিয়েছেন।

 

‘বিশ্বেশ্বর বলেছেন, দীপা পরেও জন্মদিনের উৎসব পালন করতে পারে। এখন ওর বাবা-মা ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছি না আমি। তবে দীপার তাতে কোনও সমস্যা নেই। ওর বন্ধুর সংখ্যা কম। তাই ও এখন শুধু ফাইনাল নিয়েই ভাবছে।’ বিশ্বেশ্বরের স্ত্রী সুমা সাই-এর কোচ। তিন বছর বয়সে তাঁর কাছেই জিমন্যাস্টিক শেখা শুরু দীপার। পরে সুমাই তাঁকে বিশ্বেশ্বরের কাছে নিয়ে যান। তারপর আর দীপাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বিশ্বেশ্বরের আশা, ফাইনালে হতাশ করবেন না দীপা। ফাইনাল হবে ভারতীয় সময় অনুযায়ী ১৫ অগাস্ট। পদক জিতে দীপা দেশকে স্বাধীনতা দিবসের উপহার দেবেন বলে আত্মবিশ্বাসী তাঁর কোচ।