নয়াদিল্লি: ভারতীয় সিনিয়র দলের কোচের ভূমিকায় তাঁকে দেখা যাবে কি না, তা সময়ই বলবে। তার আগে রাহুল দ্রাবিড় জানিয়ে দিলেন, কোচের দায়িত্ব তিনি তখনই নেবেন, যখন সেই দায়িত্ব পালনে নিজেকে যোগ্য মনে করবেন।


ক্রিকেটার দ্রাবিড়কে সকলেই ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ বলেই চেনেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে দলের অন্যতম ভরসাযোগ্য ছিলেন দ্রাবিড়। আবার রিটায়ারমেন্টের পরও ভারতীয়-এ  এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচের ভূমিকাতেও দ্রাবিড়ের ওপরই ভরসা রেখেছে বিসিসিআই। এখন ভারতীয় সিনিয়র দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে রবি শাস্ত্রীর মেয়াদ ফুরনোর পর ধোনি-কোহলিদের ‘হেডস্যর’-এর ভূমিকাতে দ্রাবিড়কেই দেখতে চাইছেন বোর্ডের একাংশ বলে খবর।

এই প্রেক্ষিতে রাহুল নিজে জানিয়েছেন, দায়িত্ব তিনি তখনই গ্রহণ করবেন যদি নিজেকে সেই পদের যোগ্য বলে মনে করেন। সঙ্গে যোগ করেন, সময় কতটা দিতে পারবেন, তাও বিচার্য। নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে ‘দ্য ওয়াল’ বলেন, জীবনের এই পর্যায়ে এসে এখন যে সিদ্ধান্তই নিই না কেন, তার আগে দেখতে হবে সেই দায়িত্ব পালনে আমার ক্ষমতা আছে কি না।

বর্তমানে আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস-এর মেন্টরের ভূমিকায় নিযুক্ত দ্রাবিড়। এদিন তিনি বলেন, এই পর্যায়ের (সিনিরদের কোচিং করানো) দায়িত্ব নেওয়ার আগে অনেক ভাবনাচিন্তা করতে হয়। পরখ করতে হয় যে সেখানে কতটা সময় ও উৎসাহ আপনি ব্যয় করতে পারছেন। আপনাকে এটা মাথায় রাখতে হবে যে, এই কাজে একশ শতাংশ মনোনিবেশ করতে হবে।

নিজের ক্রিকেটার জীবনের কথা টেনে এনে দ্রাবিড় জানান, যদি আপনি ভাল ব্যাটসম্যান হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন, তাহলে তার জন্য প্রচুর সময়, আত্মত্যাগ এবং নিবেদিত হতে হবে। তবেই সাফল্য আসবে। তিনি যোগ করেন, এক্ষেত্রেও সমান বলিদান প্রয়োজন।

যদিও, রাহুল দ্রাবিড়কে ঘিরে ওঠা জল্পনায় জল ঢাললেন বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুর। দ্রাবিড় নিয়ে মিডিয়ায় প্রচারিত খবরের কোনও সত্যতা নেই বলে দাবি করে তিনি জানান, প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে পরবর্তী কোচ করা হবে কি না সেই নিয়ে বোর্ডের কোনও স্তরেই কোনও আলোচনা হয়নি। তিনি যোগ করেন, যথাযথ সময় সঠিক লোককে বাছাই করা হবে। অনুরাগের মতে, যাঁকেই নিয়োগ করা হোক না কেন, তাঁকে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত রেখে দেওয়ার ভাবনা নিয়েই করা হবে।