কলকাতা: গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। আগামী ৭ মার্চ তাঁর স্মরণসভা আয়ােজন করা হবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তাঁবুতে। কেরিয়ারের দীর্ঘ সময়ে লাল হলুদে খেলেছেন সুরজিৎ। ক্লাবের ঘরের ছেলেও বলা হত তাঁকে। তাই ঘরের ছেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে স্মরণসভা আয়োজন করছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। বিকেল চারটের সময় এই স্মরণসভা আয়োজিত হবে। সেখানে ক্লাব কর্তারা ছাড়াও থাকবেন প্রাক্তন ফুটবলার থেকে শুরু করে সুরজিৎ সেনগুপ্তর আত্মীয় পরিজনরাও। থাকার কথা সুরজিতের ছেলে স্নিগ্ধদেবেরও।


৭১ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। তাঁকে ময়দানের শিল্পী ফুটবলার বলা হত। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন গত ২৩ জানুয়ারি থেকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ক্রমেই। এরপর তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালে মোহন বাদান সবুজ-মেরুনের হয়ে সই করেছিলেন সুরজিত্‍ । তবে ওই এক বছরই। পরের বছরেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal club) সই করেন তিনি। ময়দানের এমনকী একটা সময়ের দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গার ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। এছাড়া কলকাতার ২ প্রধানে খেলেছেন। সুরজিৎ সেনগুপ্তের অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। সুরজিৎ সেনগুপ্তর প্রয়াণে শোকবার্তা পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


গত শতাব্দীর সাতের দশকটা ছিল ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal Club)। ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত লাল-হলুদ বাহিনী সেই সময় যেন অশ্বমেধের ঘোড়া। সুরজিৎ সেনগুপ্ত (Surajit Sengupta), সমরেশ চৌধুরী (Samaresh Chowdhury), গৌতম সরকার (Gautam Sarkar), ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় (Vaskar Ganguly), সুভাষ ভৌমিকরা (Subhash Bhowmick) তখন দলকে অভাবনীয় সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত কলকাতায় একবারও ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে পারেনি মোহনবাগান (Mohun Bagan)। ১৯৭৫-এর আইএফএ শিল্ড (IFA Shield) ফাইনালে মোহনবাগানকে ৫-০ গোলে হারায় ইস্টবেঙ্গল। বড় ম্যাচ বা কলকাতা ডার্বির ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।


সাতের দশকে ইস্টবেঙ্গলের এই দুর্দান্ত সাফল্যের অন্যতম নায়ক ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। কিন্তু সেই তিনিই ১৯৮০ সালে কয়েকজন সতীর্থকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দল ছেড়েছিলেন। তাঁরা সবাই মিলে যোগ দিয়েছিলেন মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবে (Mohammedan Sporting Club)।