বার্মিংহাম: হাইজাম্পে পদক জিতে কমনওয়েলথের মঞ্চে ইতিহাস গড়েছেন তেজস্বীন শঙ্কর (Tejaswin Shankar)। অথচ একটা সময় তাঁর বার্মিংহাম যাত্রাই আটকে ছিল। শেষ মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করতে হয় আদালতকে। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে কমনওয়েলথে নামার ছাড়পত্র পান ভারতীয় অ্যাথলিট।


রুদ্ধশ্বাস আইনি লড়াই


২২ জুলাই কমনওয়েলথে নামার অনুমতি পান শঙ্কর। এক মাসের নাটকের পর ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা (IOA)-র আবেদন মেনে নেন উদ্যোক্তারা।


দেরিতে আবেদন করায় শঙ্করকে প্রথমে অংশগ্রহণের অনুমতি দেননি উদ্যোক্তারা। আইওএ-ও নীরব ছিল। পরে কমনওয়েলথ গেমস উদ্যোক্তারা ডেলিগেট রেজিস্ট্রেশন মিটিং (ডিআরএম)-এর পর জানিয়ে দেন, শঙ্করের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। তার আগেও ছিল নাটক। শঙ্কর দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। জানান যে, ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন নির্ধারিত যোগ্যতামান পেরলেও তাঁকে কমনওয়েলথের দলে রাখা হয়নি। শেষ পর্যন্ত দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে নড়েচড়ে বসেন ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার কর্তারা। ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থা আদালতে জানায় যে, ৪ X ৪০০ মিটার রিলে দলের আরোকিয়া রাজীবের পরিবর্তে শঙ্করকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরপরই সংস্থার তরফে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থাকে শঙ্করের অন্তর্ভুক্তির জন্য অনুরোধ করা হয়। ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা আবার আবেদন জানায় কমনওয়েলথ গেমস উদ্যোক্তাদের। শেষ মুহূর্তে ছাড়পত্র মেলে শঙ্করের।


বার্মিংহামে ইতিহাস


ভারতের কোনও অ্যাথলিট কোনওদিন যা পারেননি, তাই করে দেখালেন তেজস্বীন শঙ্কর (Tejaswin Shankar)। কমনওয়েলথে গেমসে (Commonwealth Games) হাই জাম্পে পদক জিতলেন। এর আগে কমনওয়েলথ গেমসের মঞ্চে ভারতের কোনও অ্যাথলিট হাই জাম্পে পদক জিততে পারেননি। সেদিক থেকে দেখলে দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন শঙ্কর।


তেজস্বীনকে ভারতীয় দলে রাখা হয়েছিল শেষ মুহূর্তে। কমনওয়েলথ গেমস শুরু হওয়ার ঠিক আগে তিনি যোগ্যতা অর্জন করেন। জাতীয় রেকর্ডের অধিকারী শঙ্কর হাই জাম্পের ফাইনালে ২.২২ মিটার লাফালেন। জিতে নিলেন ব্রোঞ্জ। বাহামার ডোনাল্ড থমাস ও ইংল্যান্ডের জোয়েল ক্লার্ক খানও ২.২২ মিটার লাফিয়েছিলেন। কিন্তু শঙ্কর একবারের প্রচেষ্টাতেই ২.২২ মিটার লাফিয়েছিলেন বলে তিনিই তৃতীয় হন। বাকি দুই অ্যাথলিট একাধিকবারের প্রচেষ্টায় ওই উচ্চতা স্পর্শ করেন।


রুপো জয়ের লড়াইয়ে ব্যর্থ


শঙ্কর অবশ্য রুপো জয়েরও চেষ্টা করেছিলেন। তৃতীয় তথা শেষ প্রচেষ্টায় তিনি ২.২৮ মিটার লাফানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ভারতীয় অ্যাথলিটকে। ইভেন্টের শেষে উচ্ছ্বসিত শঙ্কর। বলেছেন, 'জানুয়ারি মাস থেকে প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। আমার স্বপ্ন সফল হল। এখান থেকে ব্রোঞ্জ জিতে ফেরাটা দারুণ অভিজ্ঞতা।'






জাতীয় রেকর্ড গড়ে কমনওয়েলথ থেকে ভারোত্তোলনে ব্রোঞ্জ জয় লভপ্রীতের