সম্প্রতি ওয়াডা এক রিপোর্টে বলেছে, গত বছর একজন ভারতীয় ক্রিকেটার ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ বস্তু গ্রহণের প্রমাণ মিলেছে। এর আগে ২০১৩ সালের আইপিএল-এ কলকাতা নাইটরাইডার্সের হয়ে খেলার সময় ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হন ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার প্রদীপ সাঙ্গোয়ান। বিসিসিআই যাতে নাডা-কে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ডোপ পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাধা না দেয়, সেই নির্দেশ দেওয়ার জন্য আইসিসি-কে চিঠি দিয়েছে ওয়াডা। তারা ক্রীড়ামন্ত্রকে চিঠি দিয়েও একই দাবি জানিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের ডোপ পরীক্ষার ব্যবস্থা না হলে নাডা-র স্বীকৃতি বাতিলেরও হুঁশিয়ারি দেয় ওয়াডা। এরপরেই নড়েচড়ে বসে ক্রীড়ামন্ত্রক।
ক্রীড়া সচিব রাহুল ভাটনগর বলেছেন, ‘ক্রিকেটারদের মূত্র ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য ডোপ নিয়ন্ত্রণ আধিকারিক পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি নাডার ডিরেক্টর জেনারেল নবীন অগ্রবালকে। নাডা-র কাজে যদি বিসিসিআই কোনওরকম বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে আমরা ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দ্বিধাবোধ করব না। শুরুতে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রতিযোগিতা বা ম্যাচ চলাকালীন ডোপ পরীক্ষা করা হবে। পরে প্রতিযোগিতার বাইরেও ডোপ পরীক্ষা করা হবে।’
নাডা সূত্রে খবর, চলতি রঞ্জি ট্রফি থেকেই ক্রিকেটারদের ডোপ-পরীক্ষা শুরু হবে। এ বিষয়ে বিসিসিআই আধিকারিকদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।