রিও দে জেনেইরো : একজনের দীর্ঘ কেরিয়ারে স্বপ্ন পূরণ, অন্যজনের স্বপ্নভঙ্গ। কোপা আমেরিকার ফাইনালের পর মারাকানাজুড়ে নানা ছবি ধরা পড়ল। কোথাও কিংবদন্তি মেসিকে কাঁধে তুলে নিলেন টিমমেটরা। তো জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম বড় ট্রফি হাতে উচ্ছ্বাস মেসির।


কিন্তু, এইসব কিছুকে ছাপিয়ে গেল মেসির সহমর্মিতা । যা ভোলার নয়। হারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্রাজিলের ফরওয়ার্ড নেইমার। তাঁকে সান্ত্বনা জানাতে এগিয়ে এলেন বন্ধু মেসি। বুকে জড়িয়ে ধরে তাঁকে সমবেদনা জানা। যে ছবি বন্দি হয়ে থাকবে কোপা আমেরিকার ইতিহাসে।


ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার পর পুরো ক্যামেরা তাক করেছিল আর্জেন্তিনার দিকে। ১৯৯৩ সালে শেষবার কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লা আলবিসেলেস্তেরা। সেটাই ছিল দিয়েগো মারাদোনার দেশের বড় মঞ্চে শেষ আন্তর্জাতিক ট্রফি। এর পর ২৮ বছরের দীর্ঘ খরা। কাজেই এতদিন পর ট্রফি জিতে যে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে আর্জেন্তিনা মেতে উঠবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। ধরাও পড়ল সেই ছবি। অন্যদিকে পরাজয়ের হতাশা গ্রাস করে ব্রাজিলের ফুটবলারদের। নেইমারকে দেখে সেই চিত্রটা আরও পরিষ্কার হয়ে উঠছিল। হাঁটু গেড়ে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে।


নেইমার হয়ত আগামী দিনের দেশের জার্সি গায়ে অনেক ট্রফি জিতবেন। কিন্তু, এই ক্ষত তাঁর চিরকাল থেকে যাবে। কারণ, মেসির মতো কিংবদন্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মঞ্চ তো আর সচরাচর পাওয়া যায় না। কাজেই হারের দুঃখ গ্রাস করে নেইমারকে। সতীর্থ, ম্যানেজার, সাপোর্ট স্টাফরা এগিয়ে আসেন তাঁকে সান্ত্বনা জানাতে। কিন্তু, হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া দৃশ্য ছিল মেসির সান্ত্বনা। নেইমারকে বুকে আঁকড়ে ধরে সান্ত্বনা জানান মেসি। 


কোপা আমেরিকার ফাইনালের আগে বেস্ট প্লেয়ারের ভোট পান নেইমার ও মেসি। নেইমার এই টুর্নামেন্টে দুটি গোল করেছেন। পাঁচ ম্যাচে তিনটিতে গোল করতে সাহায্য করেছেন। অন্যদিকে মেসি জালে বল ঢুকিয়েছেন চার বার। ছয় ম্যাচে গোল করতে সাহায্য করেছেন পাঁচ বার।