বেঙ্গালুরু : করোনা সংক্রমিত প্রকাশ পাড়ুকোন। ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের এই কিংবদন্তি ভর্তি হাসপাতালে। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী ও ছোট মেয়েও। 


টানা জ্বরের জেরে গত শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় প্রকাশ পাড়ুকোনকে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সৌভাগ্যবশত, দীপিকা পাড়ুকোনের মা উজ্জ্বলা পাড়ুকোন ও বোন অনিশা পাড়ুকোনের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি, তারা হোম আইসোলেশনেই রয়েছেন।


৬৫ বছরের প্রকাশ পাড়ুকোনকে এই সপ্তাহেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে বলেই সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন বেঙ্গালুরুর অপর প্রখ্যাত ব্যাডমিন্টন কোচ বিমল কুমার। সাইনা নেহওয়ালের প্রাক্তন কোচ বিমলই এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুতে প্রকাশ পাড়ুকোন ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর।


বিমল কুমার জানিয়েছেন, 'দিন দশেক আগে একাধিক উপসর্গ থাকায় প্রকাশ, তাঁর স্ত্রী ও ছোট মেয়ে টেস্ট করান। তিনজনেরই রেজাল্ট পজিটিভ আসে। তারপর থেকে তারা আইসোলেশনে ছিলেন। কিন্তু প্রকাশের জ্বর না কমায় তাঁকে গত শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই মুহূর্তে ও অনেকটাই ঠিক আছে। আশা রাখছি ২-৩ দিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে ওঁকে। প্রকাশের স্ত্রী ও মেয়ে বাড়িতেই রয়েছে।'


প্রকাশ পাড়ুকোন বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের অন্যতম নক্ষত্র হিসেবেই পরিচিত। সাত ও আটের দশকে ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রের আইকন ছিলেন তিনি। প্রথম ভারতীয় হিসেবে অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার অনন্য কীর্তি রয়েছে তাঁর। ভারতের ব্যাডমিন্টন কিংবদন্তি প্রকাশই প্রথম খেলোয়াড় যিনি ব্যাডমিন্টনের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে দেশকে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন। ১৯৮৩-র ব্যাডমিন্টন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন প্রকাশ পাড়ুকোন।


১৯৮০ সালে টানা দু'বার ডেনমার্ক ওপেন, অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, সুইডিশ ওপেন জিতে প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্ব ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থানও দখল করেছিলেন প্রকাশ পাড়ুকোন। 


১৯৯১ সালে ব্যাডমিন্টন থেকে খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নিলেও বিভিন্নভাবে দেশের ব্যাডমিন্টনের উন্নতির কাজে যুক্ত তিনি। ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (বাই) চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯৩ থেকে্ ১৯৯৬ পর্যন্ত সামলেছেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দলের কোচের দায়িত্বও।