করাচি: পাকিস্তানের ক্রিকেট থেকে স্পট-ফিক্সিং ও গড়াপেটার আশঙ্কা দূর করতে হলে পিসিবি-কে উপযুক্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। যতক্ষণ না সেটা করা হচ্ছে, ততক্ষণ দুর্নীতি দূর করা যাবে না।


পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দ্বিতীয় মরসুমে স্পট-ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে সাসপেন্ড হয়েছেন জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার শারজিল খান ও খালিদ লতিফ। তাঁদের দুবাই থেকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে দুর্নীতি দমন শাখা। অপর এক ক্রিকেটার মহম্মদ ইরফানকেও স্পট-ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে জেরা করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছিল তাঁকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে এখন আবার

আফ্রিদিও পিএসএল-এ খেলছেন। এই টুর্নামেন্টেই স্পট-ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া পড়ায় হতাশ আফ্রিদি। তিনি পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি অতীতেও বলেছি, আবার বলছি, পিসিবি যতক্ষণ না এই ধরনের খেলোয়াড়দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে, ততক্ষণ গড়াপেটা বন্ধ করা যাবে না।’

নাম না করে স্পট-ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে নির্বাসিত হওয়া মহম্মদ আমিরকে জাতীয় দলে ফেরানোর বিরোধিতা করে আফ্রিদি বলেছেন, ‘পিসিবি কলঙ্কিত ক্রিকেটারকে খেলায় ফেরার সুযোগ দিয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকা একজন খেলোয়াড় যদি পাঁচ বছর পরে জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ পায়, তাহলে নির্বাসিত করার মানে কী? উপযুক্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন না করা পর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেট থেকে দুর্নীতি দূর করা যাবে না।’

আফ্রিদির সুরেই পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক রামিজ রাজাও বলেছেন, শার্জিল ও খালিদকে আর জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত না। এই দুই খেলোয়াড়কে জাতীয় দলে ফেরাতে হলে তাঁর মৃতদেহের উপর দিয়ে ফেরাতে হবে। প্রাক্তন ক্রিকেটার মহসিন খানও গড়াপেটায় অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে না ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন।