নয়াদিল্লি: সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবল দলের সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘটনায় দেশের ফুটবল মহলে খুশির হাওয়া। গত মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কুয়েতকে হারিয়ে ভারতের নবম সাফ খেতাব জয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে এবং সারা দেশের আনাচে কানাচে চলছে জোর আলোচনা। চলতি বছরে পরপর তিনটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীরা হতাশা কাটিয়ে ফের নড়েচড়ে বসেছেন।


আগামী বছর জানুয়ারিতে ভারত যে এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাবে, তাতে ভাল কিছু দেখার আশায় রয়েছে তারা। ভারতের এই সাম্প্রতিক সফল্যে অবশ্য ফুটবলপ্রেমীদেরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে বলেই মনে করেন দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তিনি মনে করেন, ইম্ফল, ভুবনেশ্বর ও বেঙ্গালুরুতে সমর্থকেরা পাশে না থাকলে এই সাফল্য তাঁরা অর্জন করতে পারতেন না।


ইনস্টাগ্রামে এক বার্তায় সুনীল বলেছেন, “বেঙ্গালুরুর ফুটবলপ্রেমীরা সত্যিই খুব স্পেশাল। আমি সাধারণত সবসময়ই এই কথা বলে থাকি। এই ব্যাপারে আমি নিরপেক্ষ হতে পারি না। কিন্তু এ বার প্রীতম (কোটাল), শুভাশিস (বোস), রাহুল ভেকে, অনিরুদ্ধ থাপা, নিখিল পূজারি, আনোয়া (আলি), আকাশ (মিশ্র) সব্বাই আমার কাছে এসে এই কথাই বলেছে যে, এ বার বেঙ্গালুরুতে এসে ওদের বিশেষ অনুভূতি হয়েছে। আপনারা সত্যিই অসাধারণ”।


ভারত এর আগে আটবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হলেও কুয়েতের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে কখনও চ্যাম্পিয়ন হয়নি। বাড়তি উল্লাস ও আনন্দ বোধহয় সেই কারণেই। এর আগে ২০১০-এ ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ৯-১-এ ভারতকে হারিয়েছিল এই পশ্চিম এশীয় দেশ। তার আগে ১৯৭৮-এর এশিয়ান গেমসে ৬-১-এ জেতে কুয়েত। ৪৬ বছর পর লেবাননকে হারিয়ে ভুবনেশ্বরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জেতেন সুনীলরা। সেই সব দিনের তুলনায় যে দেশের ফুটবল অনেক এগিয়ে গিয়েছে, তা বুঝতে পেরেই আরও বেশি আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের ফুটবল মহলে। ফুটবলাররাও তাই খুশি।


এ জন্য সুনীল ছেত্রী মাঠে তাদের খেলা দেখতে আসা সমর্থকদের বিশেষ ধন্যবাদ দিয়েছেন। বলেন, “ওয়েস্ট ব্লক, ইস্ট আপার ও লোয়ার, এমনকী, সাউথ ব্লক, কান্তিরাভার এইসব অংংশের দর্শকদের জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ”। এমনকী বেঙ্গালুরুর বাইরের সমর্থকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান দেশের এক নম্বর ফুটবল আইকন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফির পাশে বসে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “মানিয়াপ্পাডা (কেরালা), মেরিনার্স (মোহনবাগান), নর্থইস্ট ব্রিগেড, ইস্টবেঙ্গল আল্ট্রাজ এবং যাদের কথা এখনই মনে করতে পারছি না, এ রকম বহু ফুটবলপ্রেমীদের উদ্দেশ্যই বলছি, আপনারা স্টেডিয়ামে এসে যে ভাবে আমাদের জন্য গলা ফাটিয়েছেন, তা এককথায় অসাধারণ”।                                                                                                                 লেখা সৌ: