নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের জেরে ক্রিকেট বিশ্ব যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে, একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে লকডাউনের পর, যখন সব কিছু আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে, তখন কোন ক্রিকেট বোর্ড ফের বিশ্ব ক্রিকেটে রাজ করবে।

১০ টেস্ট খেলিয়ে দেশের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৬টি দেশ কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। ধুঁকছে তাদের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট প্রকল্পগুলিও। আর এসবের মধ্য়ে ক্রিকেটকে বাঁচাতে একমাত্র আশার আলো ভারত ও বিসিসিআই।

দুদিন পর, বৃহস্পতিবার, আইসিসির চিফ একজিকিউটিভ বৈঠক হবে অনলাইনে। মনে করা হচ্ছে, অধিকাংশ দেশ বিসিসিআই-কে অনুরোধ করবে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে তাদের এই আর্থিক দুরবস্থা থেকে উদ্ধার করার জন্য। এর জন্য সদস্য দেশগুলি ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) ছাঁটাইয়ের দাবিও তুলতে পারে বলে খবর।

একবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হলে, টিম ইন্ডিয়া চূড়ান্ত ব্যস্ত হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যেই, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার জন্য ভারতীয় বোর্ডকে অনুরোধ পাঠিয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা।

বিসিসিআই ছাড়া আর কোনও বোর্ডের গোটা বছর ক্রিকেট না খেলে বেঁচে থাকার ক্ষমতা নেই। শুধু বেঁচে থাকাই নয়, এত কিছুর পরও, বিসিসিআই-এর কোষাগারে কোনও টান পড়বে না।

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাকিস্তান, বাংলাদেশ, জিম্বাবোয়ে ও আয়ারল্যান্ডের। কারণ, কোনও লাভদায়ক সম্প্রচার ও স্পনসরশিপ চুক্তি ছাড়া কোনও দল তাদের সঙ্গে এফটিপি অনুযায়ী খেলতে রাজি হবে না।

পাশাপাশি, উদ্বোধনী আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাসপেন্ড করার দাবিও তুলতে পারে একাধিক দেশ। অনেকে এই প্রতিযোগিতা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানাতে পারে। বদলে, অনেকে বোর্ড বিকল্প হিসেবে বেশি লাভবান টি২০ সিরিজের দিকে বেশি ঝুঁকতে পারে। লক্ষ্য, এর মাধ্যমে ক্ষতি কমানো।

আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে টি২০ বিশ্বকাপের আসর নিয়েও অনেকে তদ্বির করতে পারে। তবে, এখনই এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত সম্ভবত গ্রহণ করা হবে না।

বহু বছর ধরেই, আইসিসি-র রাজস্বের সিংহভাগটাই আসে বিসিসিআই-এর দৌলতে। এই নিয়ে আইসিসি-র সঙ্গে একাধিকবার সংঘাতেও বেঁধেছে ভারতীয় বোর্ডের। অন্য বোর্ডও ভারতের এই আধিপত্যকে ভাল চোখে নেয়নি।

কিন্তু, করোনার ফলে, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টেছে। করোনার ফলে বিশ্ব ক্রিকেটে মাঠের বাইরে ভারতের আধিপত্য ফের কায়েম হতে চলেছে এটা বলা যেতেই পারে।