চণ্ডীগড়: কিংবদন্তী অ্যাথলিট মিলখা সিংহের শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ তাঁর জ্বর আসে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও কমে যায়। চিকিৎসকদের একটি দল তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে।’
৯১ বছর বয়সি মিলখা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে একই হাসপাতালে ভর্তি হন তাঁর স্ত্রী, জাতীয় ভলিবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক নির্মল কউর। রবিবার তিনি প্রয়াত হয়েছেন। গত ১৯ মে তিনি করোনা আক্রান্ত হন। চিকিৎসা চলাকালীন তিনি প্রয়াত হলেন। তিনি পঞ্জাব মহিলা ক্রীড়ার ডিরেক্টর ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়ামহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বুধবার মিলখার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাঁকে সাধারণ জেনারেল আইসিইউ-তে রাখা হয়। কিন্তু এরপরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হল।
মিলখার পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘মিলখাজির জন্য দিনটা কঠিন ছিল। তবে তিনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।’
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমে মোহালির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মিলখা। তারপর ৩ জুন তিনি চণ্ডীগড়ের হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীলই ছিল। কিন্তু ফের অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি।
এশিয়ান গেমসে চারবারের সোনাজয়ী মিলখা ১৯৫৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসেও চ্যাম্পিয়ন হন। তবে তাঁর সবচেয়ে স্মরণীয় পারফরম্যান্স ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিক্সে ৪০০ মিটার দৌড়ের ফাইনালে। সেবার চতুর্থ স্থান অর্জন করলেও, জাতীয় রেকর্ড গড়েন মিলখা। সেই রেকর্ড বহু বছর অক্ষত ছিল। ভারতের হয়ে ১৯৬০ ছাড়াও ১৯৫৬ ও ১৯৬৪ অলিম্পিক্সে যোগ দেন মিলখা। তাঁকে ১৯৫৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হয়।
মিলখা ও তাঁর স্ত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়ে দুবাই থেকে চণ্ডীগড়ে ফিরে এসেছেন তাঁদের ছেলে প্রখ্যাত গলফার জীব মিলখা সিংহ। মিলখা ও নির্মলের বড় মেয়ে মোনা মিলখা সিংহও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোহালিতে চলে এসেছেন। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক।