গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: সাঁইথিয়ার বনগ্রাম পঞ্চায়েতে প্ল্যাকার্ড হাতে ক্ষমাপ্রার্থনা করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আবেদন জানালেন প্রায় ২০০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক। এদিনই, তাঁদের গঙ্গা জল ছিটিয়ে দলে স্বাগত জানায় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের চাপেই দলবদল বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।


বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন বীরভূমজুড়ে। বোলপুর, ইলামবাজারের পর এবার সাঁইথিয়ায় ক্ষমা চাইলেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি করার জন্য ভুল স্বীকার করে শুক্রবার বড়াগ্রাম তৃণমূল অফিসের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে দিলেন ধরনা।


গঙ্গাজল ছিটিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হল প্রায় ২০০ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে। এমনই এক বিজেপিত্যাগী তৃণমূল কর্মীর কথায়, আমরা ভুল করেছিলাম,  আমরা ক্ষমা চেয়েছি। গ্রামের উন্নয়ন করতে পারিনি। তৃণমূলের সঙ্গে থাকব।


বনগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও তৃণমূল নেতা তুষার মণ্ডল, দলীয় সূত্রে খবর পাই বিজেপি সমর্থক ধরনায় বসেছে। এসে শুনলাম তৃণমূল যোগ দিতে চায়। গঙ্গা ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করে তৃণমূলে নেওয়া হয়।


দলত্যাগী বিজেপী কর্মীরা শাসক দলে যোগ দিলেও বীরভূমের বিজেপির জেলা সভাপতি দাবি করেছেন, সর্বত্র বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল। ঘরে ফেরার জন্য নানরকম শর্ত আরোপ করছে তৃণমূল। ভয়ে বিজেপি কর্মীরা এসব করছেন। কিন্তু এঁরা বিজেপির সঙ্গেই আছেন।


বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরৎ আসার হিরিক লক্ষ্য়নীয়। সাড়ে তিনবছর পর তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। ঘাসফুল শিবিরের প্রাক্তন সৈনিক তৃণমূল ভবনে বসেই 'ঘরে' ফেরার কথা জানালেন। মাঝে কখনও যে তৃণমূলের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়নি, সেটাও জুড়লেন। যে কথায় সহমত পোষণ করলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এদিকে, বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে মুকুল রায়ের দলছাড়া প্রসঙ্গে তাকে খোঁচাও দেওয়া হল। আর বাম-কংগ্রেসের তরফেও দল-বদলের প্রসঙ্গে উড়ে গেল খোঁচা। সবমিলিয়ে সরগরম রইল রাজ্য রাজনীতি। মুকুলের পরই একে একে তৃণমূলে ফিরেছেন নেতারা। ফেরার পথে আরও অনেকেই রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।