কলকাতা: জেলার ক্রিকেটারেরাও যাতে উন্নত পরিকাঠামোয় নিজেদের প্রতিভার ছাপ রাখার সুযোগ পান, সে ব্যাপারে তিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন। ঠিক করেছিলেন, প্রয়াত কিংবদন্তি ক্রিকেট প্রশাসক, প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট ও এক সময় আইসিসি প্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলানো জগমোহন ডালমিয়ার নামে প্রত্যেক জেলায় ইন্ডোর কোচিং সেন্টার খোলা হবে।


অভিষেক ডালমিয়ার সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পথে। শিলিগুড়ি ছাড়া বাকি ১৭টি জেলায় পথ চলা শুরু করে দিয়েছে জগমোহন ডালমিয়া ইন্ডোর কোচিং সেন্টার। বুধবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হল নদিয়া জেলার 'জগমোহন ডালমিয়া ইন্ডোর ক্রিকেট কোচিং সেন্টার'-এর। সংস্কারের পর এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সিএবি প্রেসিডেন্ট তথা আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য অভিষেক। সঙ্গে ছিলেন সিএবি-র সহ সভাপতি অমলেন্দু বিশ্বাস, অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য অর্ধেন্দু ঘোষ, নদিয়া জেলা ক্রিকেট সংস্থার সচিব গৌতম বিশ্বাস। সিএবি-র আর্থিক অনুদানে এই সংস্করণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নৈশালোকে অনুশীলনের জন্য অত্যাধুনিক আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।


জানা গেল, দুটো নেট রয়েছে ইন্ডোর কোচিং পরিকাঠামোয়। আলোর ব্যবস্থা থাকায় ক্রিকেটারেরা নৈশালোকেও প্র্যাক্টিস করার সুযোগ পাবেন। লাগোয়া জিম থেকে শুরু করে আধুনিক ক্রিকেটের সবরকম পরিকঠামোর ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। অভিষেক ডালমিয়া সিএবি প্রেসিডেন্ট ও বিশ্বরূপ দে কোষাধ্যক্ষ থাকাকালীন গোটা প্রকল্পের নীল নকশা তৈরি হয়েছিল। সেই পরিকল্পনাই এখন বাস্তব।


জেলায় জেলায় ক্রিকেটের প্রসারে বিশেষ ভূমিকা থাকবে এই ইন্ডোর কোচিং সেন্টারগুলির, বিশ্বাস উদ্যোক্তাদের। নদিয়া জেলায় ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা দেখার মতো। জানা গেল, গত আইপিএলে ফ্যান পার্ক হয়েছিল কৃষ্ণনগরে। সেখানে ২০ হাজার ক্রিকেটপ্রেমী বসে খেলা দেখেছিলেন। অনেক খুদে ক্রিকেটারও এসেছিল। বুধবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও উঠতি ক্রিকেটারদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।


প্রিয়ঙ্কা বালা, সায়ন ঘোষ, রাজকুমার পালের মতো ক্রিকেটারেরা নদিয়া জেলা থেকে উঠে এসে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ভবিষ্যতে এরকম আরও ক্রিকেটার নদিয়া থেকে তুলে আনতে উদ্যোগ ক্রিকেট কর্তাদের।


আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে অভিজিৎ




অভিজিৎ ভট্টাচার্য


বাংলা ক্রিকেটের জন্য সুখবর। আম্পায়ারদের জন্য বোর্ডের যে এলিট প্যানেল আছে, সেখানে জায়গা করে নিলেন বাংলার অভিজিৎ ভট্টাচার্য। গত আইপিএলে যিনি তৃতীয় আম্পায়ারের ভূমিকা পালন করেছেন। সারা দেশ থেকে ৩০ জন আম্পায়ার বোর্ডের এলিট প্যানেলে থাকেন। সেই তালিকায় জায়গা করে নিলেন অভিজিৎ। বি থেকে এ গ্রুপে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। স্থানীয় ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে যখন বারবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেখানে অভিজিতের সাফল্য অনেকের কাছে উদাহরণ হবে, মনে করছে ময়দান।


আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমসে শ্যুটিংয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ে সোনা ভারতের সিফট কৌরের 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial