ডারবান: আইপিএলে গত মরশুমটা ব্যাট হাতে দারুণ কেটেছে ফাফ ডু প্লেসির। আরসিবির অধিনায়কত্ব করছেন তিনি। দল প্লে অফে উঠেছিল। তার মূলে অন্য়তম ছিলেন ফাফের পারফরম্য়ান্স। কিন্তু 'বুড়ো' ফাফ কতদিন খেলবেন আর? এই প্রশ্ন জেগেছিল অনেকের মনে। আসন্ন নিলামের আগে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে, এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল। অনেকেই বলছিলেন যে প্রোটিয়া তারকা ফুরিয়ে গিয়েছেন। আগামী বছর আইপিএলে আদৌ কি দেখা যাবে ফাফকে? তাঁকে কি রিটেইন করবে আরসিবি? জাতীয় দলে ফাফের সতীর্থ ও প্রাক্তন প্রোটিয়া তারকা এবি ডিভিলিয়ার্স কিন্তু ফাফকে আগামী আইপিএলেও দেখতে পাওয়ার বিষয়ে বেশ আশাবাদী।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এবিডি বলেন, ''চলতি বছর জুলাইয়ে ফাফ ৪০ বছর পূর্ণ করেছেন। তবে আমার মনে হয় না যে এটি বড় কোনও ইস্যু হতে চলেছে। ওঁ বেশ কয়েকটি মরশুম ধরেই এই আরসিবির সঙ্গে যুক্ত। আমি নিশ্চিত রিটেইনশনের ক্ষেত্রে বিরাট ফাফকে দলে রাখার চেষ্টা করবে। কারণ ও বড় ম্য়াচের প্লেয়ার। ফাফকে আর ওঁর অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করাতে চাইবে টিম ম্য়ানেজমেন্ট।''
এবিডি নিজে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কিংবদন্তি প্লেয়ার। বিরাটের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেটার ছিলেন এবিডিই। যদিও সবরকম ক্রিকেট থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন দীর্ঘদিন হল। অন্য়দিকে ২০২১ সালের পর থেকে জাতীয় দলের জার্সিতে আর দেখা যায়নি ফাফকে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে দাপটে সঙ্গে খেলে চলেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। মোট ৩৯২ টি-টোয়েন্টি ম্য়াচে ১০,৯২৯ রান করেছেন। ৬টি শতরান ও ৭৬টি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন এখনও পর্যন্ত।
নিজের আইপিএল কেরিয়ারে চেন্নাই সুপার কিংস, রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্ট ও আরসিবির জার্সিতে খেলেছেন ফাফ ডু প্লেসি। মোট ১৪৫ ম্য়াচে এই টুর্নামেন্টে ৪৫৭১ রান করেছেন। ৩৭টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৯৬।
আইপিএল রিটেনশন সংক্রান্ত নিয়মাবলীতে আনক্যাপড ক্রিকেটারদের সংক্রান্ত নিয়ম ঘোষণা করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে কোনও ক্রিকেটার, উক্ত আইপিএল মরশুমের আগের পাঁচ বছরে যদি কোনও আন্তর্জাতিক দলের প্রথম একাদশে না থাকেন, বা তাঁর যদি বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কোনও বার্ষিক চুক্তি না থাকে, তাহলে তাঁকে আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসাবে গণ্য করা হবে। তবে এই নিয়মটা কেবলই ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্যই প্রযোজ্য। এই নিয়ম অনুযায়ী ভারতের বিশ্বজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক ধোনিকে কিন্তু আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসাবেই গণ্য করা হবে।