লখনউ: ইরানি ট্রফিতে (Irani Trophy 2024) প্রথম ইনিংসে সরফরাজ খানের অনবদ্য দ্বিশতরানে ভর করে রানের পাহাড় খাড়া করেছিল মুম্বই। ৫৩৭ রানের সেই পাহাড়ের কাছাকাছিও পৌঁছতে হলে সরফরাজের মতোই এক বড় ইনিংস খেলার প্রয়োজন ছিল কারুর। সেই ইনিংস এল অভিমন্যু ঈশ্বরণের (Abhimanyu Easwaran) ব্যাট থেকে। অল্পের জন্য অনবদ্য ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেও, তাঁর চওড়া ব্যাট ও সারাংশ জৈনের (Saransh Jain) স্পিন ভেল্কিতেই অবশিষ্ট ভারত একাদশ কোনওক্রমে ম্যাচে টিকে রয়েছে।


চার উইকেটে ২৮৯ রানে দিনটা শুরু করেছিল অবশিষ্ট ভারত। ক্রিজে সেঞ্চুরিয়ান ঈশ্বরণের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ধ্রুব জুরেল। দুই তারকাই ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। ১৫০ রানের পার্টনারশিপও পূরণ করে ফেলেন তাঁরা। তবে ঠিক যখন মুম্বই বোলারদের ক্লান্ত দেখাচ্ছিল এবং জুরেল কার্যত নিশ্চিত শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন। তখনই লেগ সাইডে তনুশ কোটিয়ানের বলে ক্যাচ দেন জুরেল। ৯৩ রানে ফেরেন তিনি। ঠান্ডা মাথায় গোটা ইনিংস খেলা ঈশ্বরণও নিজের দু'শো মাঠে ফেলে আসেন। প্রথম সেশনে দুই উইকেট হারিয়ে ১১১ রান তোলে অবশিষ্ট ভারত। 


আশা ছিল অবশিষ্ট ভারতের বাকি ব্যাটাররা রানটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তবে কোথায় কী! তনুশ কোটিয়ানের দৌরাত্ম্যে ৪১৬ রানেই শেষ হয়ে যায় অবশিষ্ট ভারতের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পৃথ্বী শ ও আয়ুষ মাত্রে দুরন্ত গতিতে ইনিংস শুরু করেন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়েন দুইজনে। তবে এরপরেই মানব সুতার ও সারাংশের ভেল্কিতে মুম্বইয়ের মিডল অর্ডার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মাত্র ৭৩ রানের ব্যবধানেই ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে মুম্বই।


তবে দিনের শেষবেলায় সপ্তম উইকেটে তনুশ কোটিয়ান ও সরফরাজ রঞ্জি চ্যাম্পিয়নদের ইনিংসকে স্থিরতা প্রদান করেন। তাঁরা ২৮ রান যোগ করেন। ছয় উইকেটেই ১৫৩ রানে দিনশেষ করে মুম্বই। আপাতত অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বাধীন দল ২৭৪ রানে এগিয়ে রয়েছে। পঞ্চম দিনের শুরুতেই অবশিষ্ট ভারত একাদশ দ্রুত বাকি চার উইকেট তুলে নিলে কিন্তু ঈশ্বরণদের জয়ের আশা তাও থাকবে। এবার তাঁরা সেটা করতে সক্ষম হন কি না, সেটাই দেখার।         


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: বিগত ৪ মাস কানাকড়িও পাননি! চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান ক্রিকেট?