কলকাতা: মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami) কি কোনও দিন ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে দেখা যাবে?
৩৫ বছরের ফাস্টবোলারের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যেতে পারে এই নভেম্বরেই। ইডেনে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ খেলবে ভারত, সেই সময়ই আর এক পরীক্ষায় বসতে চলেছেন ডানহাতি জোরে বোলার। হোক না সে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ। প্রতিপক্ষ হোক না দুর্বল অসম। শামি হয়তো এমন বিক্রমে বল করবেন যেন সামনে দুরন্ত অস্ট্রেলিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা। অসমের বিরুদ্ধে বাংলার রঞ্জি ম্যাচেই ঠিক হয়ে যেতে পারে, ভারতীয় দলে শামিকে আর কোনওদিন দেখা যাবে কি না।
শামির রিপোর্টকার্ড তৈরি করতে কল্যাণীতে যাবেন ভারতীয় দলের নির্বাচক প্রধান! ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের মাঝেই কল্য়াণীতে শামির বোলিং দেখতে যেতে পারেন অজিত আগরকর।
ইডেনে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ম্যাচ দেখতে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন আগরকর। সম্প্রতি যাঁর সঙ্গে শামির পরোক্ষে বাগযুদ্ধ বেঁধেছে। কারণ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণার সময় আগরকর জানিয়েছিলেন, শামির ফিটনেস নিয়ে কোনও আপডেট নেই তাঁদের কাছে। যা শুনে বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলতে নামার আগে শামি পাল্টা বোমা ফাটান যে, তিনি ফিট কি না নির্বাচকদের জানানো তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতিতে সরগরম ছিল ভারতীয় ক্রিকেট।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গুজরাতের বিরুদ্ধে বাংলার ম্যাচ দেখতে কলকাতায় এসেছিলেন জাতীয় নির্বাচক রুদ্রপ্রতাপ সিংহ। ইডেনে সেই ম্যাচে আরপি-র সামনেই আট উইকেট নেন শামি। সব মিলিয়ে প্রথম দুই ম্যাচে ১৫ উইকেট। সকলেই ভেবেছিলেন যে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে শামির দলে ফেরা সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শামিকে বাদ দিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দল ঘোষণা করা হয়। বাংলার হয়ে রেলওয়েজ়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে খেলেননি শামি। বারবার উপেক্ষা হজম করতে করতে তিনি মানসিকভাবেও দারুণ জায়গায় নেই বলেই খবর।
তবে শামির সামনে আশার আলো তৈরি হয়েছে নতুন করে। ভারতের টেস্ট ম্যাচ দেখতে কলকাতায় এসেছেন আগরকর। শোনা গেল, তিনি টেস্ট ম্যাচের ফাঁকেই একদিন শামির বোলিং দেখতে কল্যাণীতে বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে যেতে পারেন। সেখানে শামি যদি আগরকরের সামনেই বল হাতে জ্বলে ওঠেন?
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন সাদা বলের সিরিজে শামির নাম দেখলে অবাক হওয়ার থাকবে না।