লালি: রঞ্জিতে হরিয়ানার বিরুদ্ধে নিজেদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শুরুর দিনটা দুর্দান্ত কাটল বাংলা। প্রথমে ব্য়াট করতে নেমে বড় রানের পথে মনোজ তিওয়ারির দল। অপরাজিত শতরান হাঁকালেন অনুষ্টুপ মজুমদার। দিনের শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩৫ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছে বাংলা শিবির।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হরিয়ানার অধিনায়ক। ব্যাট হাতে নেমে বাংলার ওপেনার করণ লাল মাত্র ২০ রান করেই প্য়াভিলিয়নে ফিরে যান। কিন্তু অভিমন্যু ঈশ্বরণ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে অভিষেক পোড়েল ৪৯ রান করেন। তবে এদিন বাংলার ব্যাটিংয়ের মূল স্তম্ভ ছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। ময়দানের রুকুর ব্যাট থেকে এল ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও একটি শতরান। প্রথম দিনের শেষে ১৩৭ রানের অপরাজিত রয়েছেন তিনি। নিজের ইনিংসে এখনও পর্যন্ত ১৪টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন অনুষ্টুপ। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন প্রদীপ্ত প্রামানিক। তিনি ২৩ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
বঞ্চনার জবাব ব্য়াটেই সরফরাজের
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন ভারতীয় নির্বাচকরা। রঞ্জিতে স্বপ্নের ফর্মে থাকা সত্ত্বেও না ওয়ান ডে, না টি-টোয়েন্টি না টেস্ট, কোনও দলেই সুযোগ পাননি সরফরাজ খান (Sarfaraz Khan)। এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। তবে সরফরাজ আগেই জানিয়েছিলেন, যাই হয়ে যাক তিনি ভেঙে পড়বেন না। নিজের কথা রাখলেন মুম্বইয়ের ব্যাটার। জাতীয় দলে বঞ্চনার জবাবটা কিন্তু ব্যাট দিয়েই দিলেন মুম্বই তারকা। মঙ্গলবার রঞ্জিতে দিল্লির বিরুদ্ধে মাঠে নেমে ফের একবার সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি।
এদিন দিল্লির বিরুদ্ধে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সরফরাজ। তিনি ব্যাটে নামার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সাজঘরে ফেরেন অজিঙ্ক রাহানে। ৬৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বিরাট চাপে পড়ে যায় মুম্বই। তবে দলের ত্রাতা হয়ে উঠেন সরফরাজ। এক চোখধাঁধানো ইনিংসে দলকে চাপের মুখ থেকে রক্ষা করেন সরফরাজ। তিনি ১৫৫ বলে ১২৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। সরফরাজের ইনিংস সাজানো ছিল ১৬টি চার ও চারটি ছক্কায়। এই নিয়ে বিগত ১০ রঞ্জি ইনিংসে চতুর্থ শতরান হাঁকালেন সরফরাজ।
ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে সূর্যকুমার যাদবকে দলে নেওয়া হলেও ভাবা হয়নি এই ফর্ম্যাটে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভারতের এই মুহূর্তের অন্যতম সফল ব্যাটার সরফরাজ খানকে। স্বভাবতই কিছুটা হতাশ হন তরুণ এই ব্য়াটার। সরফরাজ বলছিলেন, ''আমি যেখানেই যেতাম সেখানেই শুনতে পেতাম যে খুব তাড়াতাড়ি জাতীয় দলে সুযোগ আসবে আমার। সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজার হাজার মেসেজ। ভারতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ায় অনেকেই লিখেছিলেন যে তোমার সময়ও আসবে। আমি অসম থেকে দিল্লি পৌঁছেছিলাম। কিন্তু সারারাত ঘুমোতে পারিনি। বারবার মাথায় আসছিল যে কেন জাতীয় দলে আমি নেই। কিন্তু বাবার সঙ্গে কথা বলার পর যদিও আমি আবার স্বাভাবিক হতে পেরেছি। ডিপ্রেশনে চলে যেতে চাই না কোনওভাবেই। আমি আবার চেষ্টা করব।''