দুবাই: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy) ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের রেশ এখনও কাটেনি। ভারতের কাছে হেরে সেমিফাইনালের দৌড় থেকেই ছিটকে গিয়েছে আয়োজক দেশ পাকিস্তান। এর মাঝেই ফের বাইশ গজে ভারত-পাক দ্বৈরথের দিনক্ষণ পাকা হয়ে গেল?
এ বছরই বসবে এশিয়া কাপের আসর। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সেপ্টেম্বর মাসে হবে মেগা এই টুর্নামেন্ট। ২০২৬ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ রয়েছে। তার প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হবে বলে আগামী এশিয়া কাপ টি-২০ ফর্ম্যাটে করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ১৭তম এশিয়া কাপ হবে নিরপেক্ষ কোনও দেশে। শোনা যাচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হতে পারে টুর্নামেন্ট।
২০২৩ সালে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। চলতি বছরে আবার এশিয়া কাপ হবে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জানিয়েছে যে, সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। টি-২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই টি-২০ ফর্ম্যাটে হবে এবারের এশিয়া কাপ। এবার অংশ নেবে আট দল। মোট ১৯টি ম্যাচ হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিযোগিতার আয়োজক ভারত হলেও হাইব্রিড মডেল অনুসরণ করা হতে পারে। ম্যাচগুলি শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিল ঠিক করেছে যে, ভারত এবং পাকিস্তানের মাটিতে আপাতত কোনও টুর্নামেন্ট দেওয়া হবে না। কারণ, দুই দলই একে অপরের দেশে গিয়ে খেলতে রাজি নয়। যে কারণে তৈরি হচ্ছে জটিলতা। তা কাটাতেই হাইব্রিড মডেলের পরিকল্পনা নেওয়া হতে পারে।
শোনা যাচ্ছে, গ্রুপ এ-তে ভারত, পাকিস্তান ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে রাখা হবে। আরও একটি দলকে রাখা হবে সেই গ্রুপে। অন্য গ্রুপে রয়েছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। সেই গ্রুপেও আরও একটি দল থাকবে। হংকং এবং ওমান এই বছরের এশিয়া কাপ খেলবে। ২০২৩ সালে নেপাল খেলেছিল এশিয়া কাপে। এবার অবশ্য তারা যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।
শোনা যাচ্ছে, টুর্নামেন্টে এক গ্রুপে থাকায় ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ তো হবেই, সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে একাধিকবার দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এশিয়া কাপে রেকর্ড সংখ্যক আটবার চ্যাম্পিয়ন ভারত। সেখানে পাকিস্তান মাত্র ২ বার জিতেছে এশিয়া কাপ।