নয়াদিল্লি: ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ (IND vs PAK) মানেই টানটান উত্তেজনা, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ম্যাচে ২২ গজের লড়াইয়ের থেকে মাঠ ও মাঠের বাইরের না না বিতর্ক বারংবার শিরোনাম কেড়ে নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল করমর্দন-বিতর্ক। এশিয়া কাপে গ্রুপের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করমর্দন করেনি ভারতীয় দল। সেই প্রবল জলঘোলা,অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পর্ব চলে। অনেকেই সূর্যকুমার যাদবদের করমর্দন এড়িয়ে যাওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেন। কেউ কেউ আবার এই নিয়ে প্রশ্নও তোলেন। কংগ্রেস বিধায়ক শশী তারুর (Shashi Tharoor)কিন্তু ম্যাচের পর হাত না মেলানোর কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
ANI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস নেতা কার্গিল যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, 'আমাদের যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এমনই মনোভাব থাকত, তাহলে খেলাই উচিত ছিল না। তবে একবার যখন ম্য়াচ খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তখন সেটা ক্রীড়া ভাবমূর্তি সঙ্গে নিয়েই খেলা উচিত ছিল। ওদের সঙ্গে হাত মেলানো উচিত ছিল। আমরা তো এর আগে ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময়েও এমনটা করেছিলাম।'
তিনি যোগ করেন, 'আমদের দেশের সৈনিকরা ঠিক যেদিন সীমান্তে মারা যাচ্ছিল, সেইদিনই আমরা ইংল্যান্ডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলছিলাম। আমরা সেই সময়ও ওদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলাম কারণ দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেমনই থাকুক না কেন, ক্রিকেটীয় ভাবমূর্তিটা তার থেকে ভিন্ন। এটা আমি মনে করি।'
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচ শেষে অনেক জলঘোলা হয়েছে। ম্যাচের পর সূর্যকুমার যাদব ভারতীয় সেনাবাহিনী ও পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের উদ্দেশে জয় উৎসর্গ করেন। পিসিবির তরফে জানানো হয়েছে সূর্যর মন্তব্যগুলি 'রাজনৈতিক'। সেই মর্মে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসিকে নালিশ করা হয়। সেই নালিশের জবাবে বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর শুনানি হয়। আইসিসির এই শুনানিতে হাজির ছিলেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ম্য়াচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন এ বিষয়ে সূর্যকুমারের বক্তব্য শুনেছেন।
অবশ্য এই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি। শুক্রবার ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে সেই ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে। অপরদিকে, ভারতের তরফেও বুধবার শাহিবজাদা ফারহান ও হ্যারিস রউফের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। শাহিবজাদা অর্ধশতরান করে বন্দুকের ঈশারা করে সেলিব্রেট করেন, রউফকে বিমান দুর্ঘটনা তথা পাকিস্তানের দাবি মতো রাফাল বিমান ধ্বংসের অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়। এই নিয়েই ভারতও নালিশ করেছে। সেই বিষয়ে এখনও অবশ্য শুনানি হয়নি।