ক্যানবেরা: পারথে ব্যর্থ হয়েছে অজি ব্যাটিং লাইন আপ। ওপেনিংয়ে অভিষেকে নজর কাড়তে পারেননি নাথান ম্য়াকস্যুইনি। এমনকী মিডল অর্ডারে লাবুশেন, স্মিথরাও রান পাননি। অন্য়দিকে গোলাপি বলের প্রস্তুতি ম্য়াচে ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে ৯০ বলে শতরানের ইনিংস খেলে তাক লাগিয়ে দিলেন উনিশ বছরের এক তরুণ অজি ব্যাটার। মানুকা ওভালে সিরাজ, আকাশ দীপ, রানাদের বিরুদ্ধে দুরন্ত ব্যাটিং স্য়াম কনস্টাসের। প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্য়াচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু তার মধ্যেই স্য়াম কনস্টাসের ইনিংস অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকদের ভাবাচ্ছে। ৯৭ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। কিন্তু কে এই কনস্টাস? 


২০০৫ সালে ২ অক্টোবর জন্ম স্য়াম কনস্টাস। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে ধারাবাহিক সাফল্য পেয়ে এসেছেন কনস্টাস। অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব ১৯ ও নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়েও দারুণ পারফর্ম করেছেন কনস্টাস। শেফিল্ড শিল্ডের ম্য়াচে নিউ সাউথ ওয়েলস ও সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শতরানের ইনিংস খেলছিলেন কনস্টাস। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে নজির গড়েছিলেন কনস্টাস। ভেঙে দিয়েছিলেন ১৯৯৩ সালে রিকি পন্টিংয়ের নজির।


গত বছর জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব ১৯ দলে যোগ দিয়েছিলেন কনস্টাস। ইংল্য়ান্ড সফরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার যুব দল। গত বছর নভেম্বরে তাসমানিয়ার বিরুদ্ধে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয় কনস্টাসের। গত বছরই ডিসেম্বরে প্রথমবার পেশাদার চুক্তিবদ্ধ হন সিডনি থান্ডারের হয়ে। চলতি বছর অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন তরুণ ওপেনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টে ১২১ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। অ্যাডিলেড টেস্টের আগে কনস্টাসের এই ইনিংস কিন্তু তাঁকে আচমকাই সিনিয়র দলে ঢুকিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যেখানে অজি ব্যাটিং লাইন আপের বেশিরভাগই এই মুহূর্তে অফফর্মে। 


দুইদিনব্যাপী ম্যাচের প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। ঠিক হয়ে দ্বিতীয় দিন দুই দলই ৫০ ওভার করে ব্যাটিং সারবে। তবে গোটা ৫০ ওভার খেলতেই পারল না প্রধানমন্ত্রী একাদশ। ৪৩.২ ওভারেই অল আউট হয়ে গেল তারা। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে রানা ৪ উইকেট নেন। বুমরা এদিন খেলেননি। রান তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারতীয় দল।  শতরানের ইনিংস খেলার জন্য ম্য়াচের সেরা হন স্য়াম কনস্টাস।