নয়াদিল্লি: এক স্টিং অপারেশনে ভারতীয় দলের অন্দরের একাধিক তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরই চেতন শর্মা ভারতের প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তারপর থেকে শিবসুন্দর দাস অন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তবে এবার চেতন শর্মার ফাঁকা করে যাওয়া নির্বাচকের পদ ভরাট করতে আগ্রহী বিসিসিআই (BCCI)। সেই কারণে বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে আবেদনপত্র জমা দেওয়ারও ডাক দেয়। বীরেন্দ্র সহবাগে (Virender Sehwag) এই পদে নিয়োগ করা হতে পারে বলে জোর জল্পনা।


বিসিসিআই ভারতের উত্তরাঞ্চল থেকে এক নির্বাচক নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানায়। নিয়ম অনুযায়ী, ভারতীয় জাতীয় দলের হয়ে সাতটি টেস্ট ম্যাচ বা দশটি ওয়ান ডে বা অন্তত ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ক্রিকেটার, যারা অন্তত পাঁচ বছর আগে অবসর ঘোষণা করেছেন, একমাত্র তাঁরাই এই পদে আবেদন করতে পারবেন। ভারতের উত্তরাঞ্চল থেকে বহু নামি তারকারা উঠে এসেছেন। যুবরাজ সিংহ, হরভজন সিংহ, গৌতম গম্ভীররা তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তবে এই ত্রয়ীর কেউই পাঁচ বছর আগে অবসর নেননি। তাই নিয়ম অনুযায়ী কেউই ভারতের নির্বাচক পদে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন না।


তবে সহবাগ কিন্তু আবেদন করতেই পারবেন। তাই তাঁর নির্বাচকপদে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জল্পনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে। উত্তরাঞ্চল থেকে যে নির্বাচক নিযুক্ত হবেন, সম্ভবত তাঁকেই নির্বাচক প্রধানও করা হবে। শোনা যাচ্ছে সহবাগকে নাকি খোদ বিসিসিআইয়ের তরফে তাই আবেদন জমা দেওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে। তবে সব জল্পনা-কল্পনায় জল ঢেলে দিলেন ভারতীয় প্রাক্তনী নিজেই। তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে তিনি ভারতের নির্বাচক হতে রাজি নন।


অবসর নিলেও, সহবাগ বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় অ্যানালিস্টের কাজ করে থাকেন, বহু বিজ্ঞাপনেও দেখা যায় তাঁকে। সেখানে প্রধান নির্বাচকের বেতন এক কোটি টাকা। সেই কারণেই সহবাগ আরও এই পদে যোগ দিতে চান না বলে মনে করছে একাংশ। গোটা বিষয়ের সঙ্গে অবগত এক বিসিসিআই আধিকারিক জানান, 'সিওএ-র সময়ে বীরুকে দলের প্রধান কোচের পদের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছিল। পরে অবশ্য অনিল কুম্বলকে সেই দায়ভার দেওয়া হয়। সহবাগ তাই নিজে কোনও আবেদন জমা দেবেন না। পাশাপাশি বেতনটাও ওঁর মতো একজনের জন্য যথেষ্ট নয়।'


আরও পড়ুন: প্রতিদিন নিয়মিত মধু সেবনে কী কী উপকার হতে পারে আমাদের স্বাস্থ্যের?