সুরাত: মরা ম্যাচেও প্রাণ ফিরিয়েছিলেন বাংলার লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। এবার বল হাতে বোনাস-সহ সাত পয়েন্টের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করলেন বাংলার বোলাররা। রেলওয়েজ়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ম্যাচে চালকের আসনে বাংলা।
সুরাতে রেলওয়েজ়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলা। তবে শুরুতে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল বাংলার মন্থর ব্যাটিং। প্রথম দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৯ ওভারের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ১৬/২! লাঞ্চের সময় ৩১ ওভারের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ৩৭/৩! সেখান থেকে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের নায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার, শাহবাজ আমেদ ও সুমন্ত গুপ্ত। শাহবাজ ৮৬ রান করে আউট হলেও অনুষ্টুপ ও সুমন্ত সেঞ্চুরি করেন। বাংলা প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৪৭৪ রান।
জবাবে রেলওয়েজের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেল ২২২ রানে। সূরয সিন্ধু জয়সওয়াল চার উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট রাহুল প্রসাদ ও মহম্মদ কাইফের। রবিবার, ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে রেলওয়েজের প্রথম দিনের স্কোর ছিল ৯৭/৫। বাংলার বোলারদের দাপটে একটা সময়ে ৫৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল রেলওয়েজ। এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ভার্গব মেরাই ও উপেন্দ্র যাদব। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেট পার্টনারশিপে ১৪৮ রান যোগ করেন দুজনে। যা বাংলা শিবিরকে সাময়িকভাবে হলেও চাপে ফেলেছিল। তবে উপেন্দ্র যাদবকে বোল্ড করে সেই পার্টনারশিপ ভাঙেন কাইফ। ৭০ রান করেন উপেন্দ্র। ভার্গব ৯১ রান করে ফেরেন রাহুল প্রসাদের বলে। এরপরই ধসে পড়ে রেলওয়েজ়ের ব্যাটিং। ২২২ রানে অল আউট হয় রেলওয়েজ়। ২৫২ রানের লিড পায় বাংলা।
সাত পয়েন্টের সুযোগ থাকায় বাংলা প্রতিপক্ষকে ফলো অন করানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ফলো অন করে তৃতীয় দিনের শেষেও চাপে রেলওয়েজ়। তৃতীয় দিনের শেষে ৯০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছে তারা। বল হাতে ভেল্কি দেখাতে শুরু করেছেন বাংলার স্পিনাররা। রাহুল প্রসাদ ও শাহবাজ আমেদ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এক উইকেট কাইফের। এখনও বাংলার চেয়ে ১৬২ রানে পিছিয়ে রেল। কাল, মঙ্গলবার ম্যাচের শেষ দিন। ১৬২ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষকে অল আউট করতে পারলে সাত পয়েন্টের সম্ভাবনা থাকছে বাংলার। সেক্ষেত্রে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে পয়েন্ট নষ্টের ক্ষতেও অনেকটা প্রলেপ পড়বে। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলছেন, 'কাল প্রথম ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওদের দ্রুত অল আউট করে সাত পয়েন্ট নিতে হবে।'