মুম্বই: সিনিয়র উইমেন্স টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নিল বাংলা। সেমিফাইনালে তারা হারিয়ে দিল হিমাচলপ্রদেশকে। ২১ রানে জয় ছিনিয়ে নিল বাংলা মহিলা ক্রিকেট দল। ফাইনালে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হবে বাংলা দল। আগামী মঙ্গলবার ফাইনালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দুই দল মুখোমুখি হবে খেতাবি লড়াইয়ে।
এদিন প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলা মহিলা ক্রিকেট দল ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৩৪ রান তুলে নিয়েছিল। বাংলার হয়ে তনুশ্রী সরকার ৩৬ রান করেন। রিচা ঘোষ ৩১ রানের ইনিংস খেলেন। রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১১৩ রান তুলতে পেরেছিল হিমাচলপ্রদেশকে। বাংলার বোলারদের মধ্যে তিতাস সাধু ৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন। সাইকা ইশাক ২২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন। এছাড়া মিতা পাল ব্যাট হাতে ২৯ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৪৪ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট নেন। সুস্মিতা গঙ্গোপাধ্যায় ২৭ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট নেন।
এদিকে, রবিবার বাংলা দলের ফেসবুক পেজে গোটা দলের সঙ্গে শামির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করা হয়। সেই ছবিতে বাংলার টিম হোটেলের বাইরে গোটা দলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় শামিকে। দলের সকলের সঙ্গে তিনি দীর্ঘ আলাপ আলোচনাও সারেন বটে। তবে বাংলা দলের হয়ে এখনও মাঠে নামছেন না তিনি। সদ্যই কর্ণাটকের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে বাংলার ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচ ড্র হয়। প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ায় তিন পয়েন্ট আসে বাংলার ঝুলিতে। এরপরে অনুষ্টুপ মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দল মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে খেলবে। 'গার্ডেন সিটি' থেকে ইনদওরের উদ্দেশেই রবিবার রওনা দেয় গোটা বাংলা দল। সেই সময়ই শামির সঙ্গে দেখা হয় সকলের।
তবে শামি মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ঘোষিত বাংলা দলে নেই। কর্ণাটক ও মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে দুই অ্যাওয়ে ম্যাচের জন্য বাংলার দল ঘোষণার দিকে অনেকেই তাকিয়ে ছিলেন। মহম্মদ শামিকে দলে রাখা হয় কি না, তা নিয়ে জোর জল্পনা ছিল। রঞ্জি ট্রফি শুরুর আগে শামি নিজেই জানিয়েছিলেন যে, তিনি বাংলার জার্সিতে অন্তত দুটি ম্যাচ খেলতে চান। নিজেকে ম্যাচ ফিট করে তুলতে চান। শামি বাংলার হয়ে কবে খেলতে পারবেন, এই বিষয় জানতে বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল নাকি তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন। তবে তাতে ইতিবাচক কোনও ইঙ্গিত মেলেনি বলেই খবর। শামি এখনও ম্যাচ ফিটই নন।